ঠান্ডায় কাঁপেছে রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ। মরশুমের শীতলতম দিনের সাক্ষী তিলোত্তমা। প্রতিদিনই নিজের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ে চলেছে তাপমাত্রা। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার তা আরও এক ডিগ্রি কমে হয়েছে ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১.২ ডিগ্রি কম। ভোরের দিকে এই তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রির কাছাকাছি। বেলা বাড়তে তা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৭.২ ডিগ্রি কম।
রবিবার রাতে পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটাই দক্ষিণবঙ্গে সর্বনিম্ন। শৈলশহর দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪.৪। আসানসোলে ৯.১, দিঘায় ১১.২, কোচবিহারে ১৩.৬, শ্রীনিকেতনে ৭.৩, কালিম্পঙে ১০, বর্ধমানে ৯। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী দু’দিন রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মোটের উপর একই থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ধীরে ধীরে ২-৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে। ইংরেজি নতুন বছরের আগে দক্ষিণবঙ্গে শীত কমার কোনও পূর্বাভাস নেই।
উত্তরবঙ্গে যদিও ঠিক এর বিপরীত আবহাওয়া থাকতে পারে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারির মধ্যে পার্বত্য এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা। এই মুহূর্তে যদিও উত্তরের জেলাগুলিও কুয়াশায় ঢাকা। জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুর, মালদহ, আলিপুরদুয়ারে ঘন কুয়াশা। দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের কাছাকাছি।
কলকাতায় মঙ্গলবার আকাশ মূলত পরিষ্কার এবং মেঘমুক্ত থাকার পূর্বাভাস। সকালের দিকে কোথাও কোথাও কুয়াশা থাকতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্রই আপাতত শুষ্ক আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে সর্বত্র। এর ফলে দৃশ্যমানতা ৯৯৯ মিটার থেকে ২০০ মিটার পর্যন্ত নামতে পারে।