মা ক্যান্টিনে হঠাৎ হাজির মুখ্যমন্ত্রী, বয়স্কদের হাতে তুলে দিলেন খাবার

বুধবার সকালে মা ক্যান্টিনে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নিজের হাতে বয়স্কদের হাতে তুলে দিলেন খাবার। সব কিছু ঠিকঠাক আছে কিনা তাও খোঁজ-খবর নিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আচমকা মুখ্যমন্ত্রীর আগমনে স্বাভাবিক ভাবেই আপ্লুত সাধারণ মানুষ। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই মুখ্যমন্ত্রী জনসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

যে কোনও জেলা সফরেই মুখ্যমন্ত্রীকে জনসংযোগ করতে দেখা যায়। কখনও শিশুকে কোলে তুলে আদর করেছেন তো কখনও রাস্তার ধারের দোকানে গিয়ে নিজে হাতে চা-মোমো বানিয়েছেন। বুধবারও তাঁর ব্যতিক্রম হল না। মুখ্যমন্ত্রীকে জনদরদী রূপে দেখল কলকাতাবাসী। এদিন সকালে হঠাৎই একটি ‘মা ক্যান্টিনে’ পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের হাতেই সাধারণ মানুষকে খাবার তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে খাবার পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সকলেই। ক্যান্টিনে আসা প্রবীণরা মুখ্যমন্ত্রীকে আর্শীবাদ করেন বলেও জানা গিয়েছে।

এই ঘটনার ছবি সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে লেখা হয়েছে,  ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই মানুষের মুখ্যমন্ত্রী, মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী। গরিব মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে তিনি চালু করেছিলেন ‘মা ক্যান্টিন’। আজ হঠাৎই কলকাতার এক মা ক্যান্টিনে হাজির হলেন তিনি। নিজের হাতে ক্ষুধার্ত মানুষের হাতে তুলে দিলেন অন্ন। তাঁকে কাছে পেয়ে দারুণ খুশি আগত মানুষজন, প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করলেন অশীতিপর বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা।‘


২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চালু হয়েছিল ‘মা ক্যান্টিন’। মাত্র ৫ টাকায় ভাত, ডাল ও ডিমের ঝোল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ন্যূনতম মূল্যে এই খাবার চালু করায় স্বাভাবিক ভাবেই কিছুদিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তা লাভ করে এই প্রকল্প। চলতি বছরের শুরুতে বিধানসভায় ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ৩৩টি জেলা হাসপাতালে মা ক্যান্টিন চলছে। এর জন্য প্রায় ১২৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে রাজ্যের। ২১.৩৯ লক্ষ মানুষ প্রতি মাসে ডিম-ভাত খান এই ক্যান্টিনে। প্রায় ৭ কোটি ২৯ লক্ষ মানুষ এই ক্যান্টিনে খেয়েছেন। দিল্লিতেও বিজেপি সরকার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই চালু করেছে ‘অটল ক্যান্টিন’।