রাত পোহালেই মহাকাশের উদ্দেশে রওনা হবে দেশের সবচেয়ে ভারী উপগ্রহ ‘বাহুবলী’ মহাকাশযান। কিন্তু মহাকাশে এত ভারী উপগ্রহ পাঠিয়ে কী লাভ ইসরোর? জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থেই এই নতুন কৃত্রিম উপগ্রহটিকে শূন্যে পাঠাতে চলেছে তাঁরা। যার জেরে শুধুমাত্র উৎক্ষেপণ ও মহাশূন্য পৌঁছনো পর্যন্ত খরচ হতে পারে ৫০০ কোটি টাকার বেশি। ইসরো জানিয়েছে, রবিবার বিকাল ৫টা ২৬ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে ‘বাহুবলী’ রকেটটিকে। এই নিয়ে আট বার ‘বাহুবলী’কে মহাশূন্যে পাঠাচ্ছে ইসরো। যার আবার আসল নাম এলভিএম-৩।
সাড়ে ৪ হাজার কেজি ওজনের এই ‘সিএমএস-০৩’ হতে চলেছে মহাশূন্যে নৌসেনার অন্যতম হাতিয়ার। যা তাঁদের হাতে তুলে দেবে সমুদ্র উপকূল থেকে ২ হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত বার্তা পাঠানোর ক্ষমতা। প্রসঙ্গত, এই নতুন কৃত্রিম উপগ্রহটির আগে নৌসেনার হয়ে একই কাজ করত ‘জিস্যাট-৭’ বা রুক্মিণী। ২০১৩ সাল থেকে দেশের উপকূলকে নিরাপদ রেখেছিল এই উপগ্রহ। তবে আর নয়, এবার সেটির বয়স হয়েছে। অনেক যন্ত্রাংশও বিকল হয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার রুক্মিণীর জায়গায় পাঠানো হচ্ছে ‘সিএমএস-০৩’-কে।
শেষবার ২০২৩ সালে এলভিএম-৩ বা এই ‘বাহুবলী’ রকেটকে মহাশূন্যে পাঠিয়েছিল দেশের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো। সেই বার নিজের সঙ্গে এটি নিয়ে গিয়েছিল চন্দ্রযান ৩-কে। আর এবার নিয়ে যাবে ‘সিএমএস-০৩’ কৃত্রিম উপগ্রহকে। কিন্তু এই নতুন উপগ্রহটি কোন কাজে লাগবে? নয়াদিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের প্রতিরক্ষা, বিশেষ করে নৌসেনার কাজেই এই নতুন এবং ওজনদার কৃত্রিম উপগ্রহটিকে আকাশে পাঠাচ্ছে ইসরো।