দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার হতে পারেন বিশ্বজয়ী শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক রণতুঙ্গা

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুন রণতুঙ্গা দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আপাতত তিনি শ্রীলঙ্কায় নেই। দেশে ফিরলেই তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কাকে একদিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয়ী দিয়েছিলেন অধিনায়ক রণতুঙ্গা। ওই একবারই একদিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই দলের অধিনায়ক এখন জেলবন্দি হতে পারেন। খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। এমনকি তিনি শ্রীলঙ্কার পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীও হয়েছিলেন। সেই সময় বেশ কয়েকটি সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দেওয়ার জন্য তিনি তাঁর দাদা বেশ কিছু হিসাববিহীন অর্থ নেন। এই অভিযোগ আসার পরে বেশ কিছুদিন ধরে আইনি ব্যবস্থায় আলোচনা হয়। সেই অভিযোগের সূত্রেই দু’জনেই দোষী প্রমাণিত হয়েছেন।

রণতুঙ্গা যখন মন্ত্রী, তখন তাঁর দাদা একটি পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। দু’জনে মিলে এই দুর্নীতি করেছিলেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। দাদাকে সোমবার গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ এবং জামিনও পেয়েছেন। শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি আমেরিকার নাগরিকত্ব রয়েছে রণতুঙ্গার দাদার। তাই জামিন পেলেও তিনি দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না বলে আদালত নির্দেশ দিয়েছে।

কলম্বোর ম্যাজিস্ট্রেট আসাঙ্গা বোদারাগামাকে তদন্ত কমিশন জানিয়েছে, রণতুঙ্গা দেশে ফিরলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে। কমিশন আরও জানিয়েছে, ২৭টি সংস্থাকে বেআইনি ভাবে বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন রণতুঙ্গা। তার জন্য ৪৫ কোটি টাকা নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে করা এই দুর্নীতি এত দিনে প্রমাণিত হয়েছে।


গত বছর ক্ষমতায় আসার পরেই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমার দিশানায়েক জানিয়েছিলেন, যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। তদন্ত কমিশন তৈরি করেন তিনি। সেই কমিশনই তদন্ত করে দোষী সাব্যস্ত করেছে ৬২ বছর বয়সি রণতুঙ্গাকে। তাঁর ভাই প্রসন্ন রণতুঙ্গা শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন পর্যটনমন্ত্রী ছিলেন। তাঁকেও দুর্নীতির অভিযোগ গত মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশে ফিরলেই অর্জুন রণতুঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।