কথায় আছে ওস্তাদের মার শেষ বেলায়! কেউ ভাবতেই পারেননি রঞ্জি ট্রফি ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলার দাপট শেষ বেলায় এইভাবে দেখতে পাওয়া যাবে। আর এই প্রবাদ বাক্যকে সার্থক রূপ দিলেন ভারতীয় দলের বোলার মহম্মদ শামি। অস্ট্রেলিয়ার সফরে তিনি ডাক না পাওয়ায় বেশ ক্ষুব্ধ। সেই কারণেই আবার ঘরোয় ক্রিকেটে তিনি যে সেরা খেলা উপহার দিতে পারেন তা চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় নির্বাচকদের। বুধবার শেষ বেলায় শামির প্রত্যাবর্তনের লড়াইটা এক নাটকীয় মুহূর্ত তৈরি হবে। প্রথম ১০ ওভার উইকেটহীন ছিলেন। তারপরেই ঝলসে উঠলেন মহম্মদ শামি। রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে ২১৩ রানে গুটিয়ে গেল উত্তরাখণ্ডের প্রথম ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ রানে অভিমন্যু ঈশ্বরণের উইকেট হারিয়েছে বাংলা।
উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। এদিন বাংলা দলে মহম্মদ শামি, আকাশ দীপের পাশে ছিলেন ঈশান পোড়েল ও সুরজ সিন্ধু জয়সওয়ালরা। সাবধানীভাবে শুরু করেন উত্তরাখণ্ডের দুই ওপেনার অবনীশ সুধা এবং প্রশান্ত চোপড়া। উত্তরাখণ্ডকে প্রথম ধাক্কা দেন ঈশান। ১২ রানে অবনীশকে আউট করেন।
এরপর সুরজের দাপটে আরও ফাটল ধরে উত্তরাখণ্ডের টপ অর্ডারে। প্রথম ২০ ওভারে ৪৫ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে ধুঁকতে থাকে কুণাল চান্দেলার দল। বিপক্ষ দলের অধিনায়ক কুণাল। ৭ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। তবে এরপর প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ভূপেন লালওয়ানি। শাশ্বত ডাঙ্গওয়ালের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটিও গড়েন।
মধ্যাহ্ন ভোজের পর চতুর্থ উইকেট নেন সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। আবারও সূরজ। ক্রমশ ভয়ানক হয়ে ওঠা ভূপেন-জগদীশা জুটিকে ভাঙেন সুরজই। জগদীশা সুচিথকে ২৫ রানে আউট করেন তিনি। তাঁদের জুটিতে ওঠে ৫৪ রান। সর্বোচ্চ স্কোরার ভূপেন লালওয়ানিকে (৭১) প্যাভিলিয়নে ফেরান ইশান পোড়েল।
এরপর শুরু হয় উত্তরাখণ্ডের ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার পালা। শেষের তিনটি উইকেট পান মহম্মদ শামি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর থেকে জাতীয় দলে তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। সেই কারণে রঞ্জির মঞ্চে জবাব দেওয়ার লক্ষ্যেই নেমেছিলেন শামি। ৩৭ রানে ৩ উইকেট পেলেন তিনি। সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল নেন ৫৪ রানে ৪ উইকেট। ঈশান পোড়েলের নামের পাশে ৩ উইকেটে ৪০। উত্তরাখণ্ডের ২১৩ রানের জবাবে বাংলা খেলতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। দিনের শেষে বাংলা ১ উইকেটে ৮ রান করে। উইকেটে রয়েছেন সুদীপ ঘরামি (৭) এবং সুদীপ চ্যাটার্জি (১)। বাংলা ২০৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা
শুরু করবে।