আইএফএ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস ক্লাবের ফুটবলাররা হতবাক হয়ে গিয়েছেন তাঁদের ব্যক্তিগত কোনও স্মারক ছিল না। খেতাব জয়ের ট্রফিটা তুলে দেওয়ার পরে ফুটবলাররা আশা করেছিলেন, ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকের হাতে কোনও স্মারক (মেডেল) তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু তাঁরা হতবাক, পদক নিতে সারিবদ্ধভাবে ফুটবলাররা দাঁড়াতে তৈরি হচ্ছেন, ঠিক তখনই তাঁদের কাছে বার্তা যায় ব্যক্তিগতভাবে কোনও খোলায়াড়ের হাতে পদক তুলে দেওয়া হবে না। তখনই তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বলতে থাকেন, পরিবারের কাছে গিয়ে আমরা কীভাবে বলব আইএফএ শিল্ডে আমরা সেরা হয়েছি।
শুধু তাই নয়, আগামী দিনে পরিবারের কাছের মানুষদের কাছে কী প্রমাণ থাকবে, আমরা ২০২৫ সালে আইএফএ শিল্ড জিতেছিলাম। ক্লাবের সমর্থকরা এই ঘটনা জানার পরে বলতে শুরু করেছেন, হাজার পাঁচেক টাকা খরচ করে যদি পদক তৈরি করা যেত, তাতে কি আইএফএ-র ক্ষতি হয়ে যেত? প্রথম শ্রেণির ফুটবল টুর্নামেন্টে বিজয়ী ও বিজেতা দলের খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগতভাবে পুরস্কৃত করা হয়ে থাকে। এমনকি জেলা ও পাড়ার কোনও ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল শেষে খেলোয়াড়দের পদক তুলে দেওয়ার রীতি রয়েছে।
এদিকে জানা গিয়েছে, ফাইনাল খেলার দিন বেশ কিছু খাবারের প্যাকেট অতিরিক্ত হয়ে যায়। ওই প্যাকেটগুলি কাদের জন্য বরাদ্দ ছিল, তা কিন্তু আইএফএ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। সেই প্যাকেটগুলির মধ্যে বেশ কিছু প্যাকেট পুনরায় বিলি করা হয় প্রেস বক্সে কর্মরত সাংবাদিকদের এবং স্টেডিয়ামের বেশ কিছু কর্মচারীদের মধ্যে। তার পরেও যে প্যাকেটগুলি অবশিষ্ট ছিল, সেগুলি নিয়ে আসা হয়েছিল এনআরএস হাসপাতালের সামনে যাঁরা অপেক্ষায় থাকেন, তাঁদের জন্য।
স্টেডিয়ামের কাছে অন্য আরও দু’টি হাসপাতাল ছিল, সেখানে কেন যাওয়া হল না? এখানে প্রশ্ন উঠেছে, ফাইনাল খেলার দিন যে প্যাকেট বিতরণ করা হবে, তার সংখ্যা আগে কেন নির্দিষ্ট করা হয়নি?
টিকিট বিতরণ নিয়ে বেশ কিছু ক্লাব কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ। তাঁরা জানিয়েছেন, খেলার দিন সকালে তাঁদের কাছে মেল এসেছে। হয়তো অনেকেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মেল খোলেননি। যার ফলে টিকিট সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে চাঁদনি স্পোর্টিং ক্লাবের সচিব নজরুল ইসলাম আইএফএ-র সচিব, সভাপতি, চেয়ারম্যান, অনুমোদিত ক্লাবগুলি সহ ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছেন।