বিরাটপর্ব শেষ

না কোনও অনুরোধ, না কোনও পালটা মন্তব্য। টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব থেকে বিরাট কোহলি সরে আসার পর বিসিসিআই-র পক্ষ থেকে মাত্র কয়েকটাই শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।

লেখা হয়েছে, ‘বিরাটের নেতৃত্বে ভারতের টেস্ট ক্রিকেট দল একটা নতুন উচ্চতা স্পর্শ করেছিল। আগামীদিনের জন্য শুভেচ্ছা রইল।’

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সম্প্রতি তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-২ ব্যবধানে হেরে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। তারপর থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল এরপর তাঁর টেস্ট অধিনায়কত্বের উপরে কোপ পড়তে পারে।


কারণ বিরাট কোহলিকে এর আগেই অবশ্য একদিনের ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের পর বিরাট কোহলি এবং বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়।

একটা ব্যাপার বেশ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে বিরাটকে নিয়ে বোর্ড একেবারেই সন্তুষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে বিরাটের হাত থেকে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার একটা সুবর্ণ সুযোগ কিন্তু বিসিসিআই-র হাতে চলে এসেছে।

শনিবার বিরাটপর্ব একটি টুইট করে বিরাট কোহলি বললেন, ‘টানা ৭ বছর ধরে আমি কঠিন পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায়ের সঙ্গে নিজের কাজটা করে এসেছি। প্রতিদিন চেয়েছি যাতে দলটা একটা সঠিক পথে যায়।

আমি সততার সঙ্গে এই কাজটা করে গিয়েছি। সেখানে কোনও ভুল কিন্তু ছিল না। তবে সবকিছুই একটা নির্দিষ্ট সময় পরে শেষ হয়ে যায়।

আমার টেস্ট অধিনায়কত্বও এবার সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। আর সেটা এখনই। আমার এই যাত্রাপথে অনেকটাই চড়াই-উতরাই ছিল। তবে আমার নিজের কোনও খামতি ছিল না। না ছিল আত্মবিশ্বাসের অভাব।

আমি যা করেছি নিজের ১২০ শতাংশ উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আর যদি সেটা না করতে পারতাম, তাহলে জানতাম যে আমি সেরাটা দিতে পারছি না। আমার মনের মধ্যে স্বচ্ছুতা ছিল।

দলের কাছে আমি অসৎ হতে পারব না’ প্রশ্ন হল বিরাট তো না হয় দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন। এবার সেই ফাঁকা সিংহাসনে বসবেন কে? বিরাটের জুতোয় পা গলানোর জন্য সবথেকে বড় দাবিদার হতে পারতেন রোহিত শর্মা।

কিন্তু, বিসিসিআই আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে তারা প্রত্যেকটা ফরম্যাটেই আলাদা আলাদা অধিনায়ক চাইছে।

ফলে রোহিতকে যে আর টেস্ট অধিনায়কের পদে বসানোর কোনও সম্ভাবনাই নেই, তা চোখ বন্ধ করে বলা যায়। এই পরিস্থিতিতে বিরাটের জায়গায় ভারতীয় ক্রিকেট দলের পরবর্তী অধিনায়ক হতে পারেন ২৯ বছর বয়সি কেএল রাহুল।

সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাহুল। পরিস্থিতিতেও রাহুল নিজের মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারেন। সেইসঙ্গে অধিনায়কত্বের চাপে তাঁর ব্যাটিংয়ে কোনও প্রভাব পড়ে না।