ভারতীয় ক্রিকেটে শুভমন গিলকে নিয়ে সবসময় নানারকম কথা শোনা যায়। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুভমনের ব্যাটে ভালো রান আছে। এমনকি, প্রতিপক্ষ দলের বোলাররা সবসময় শুভমনকে সমীহ করে বল করে থাকেন। আইপিএল ক্রিকেটে একটা সময় কলকাতা দলের হয়ে তিনি খেলতেন। কিন্তু তাঁর ব্যাট থেকে ভালো রান না আসায় কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে ছেড়ে দেয়। আইপিএল ক্রিকেটে এবারে তিনি গুজরাত টাইটানস দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
শুধু তাই নয়, অধিনায়কের ব্যাটনটা তাঁর হাতেই রয়েছে। আইপিএল ক্রিকেটে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নব্বইয়ের ঘরে আউট হয়েছেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। তিনি তিনবার শতরান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল। শুভমন গিল তাঁদের সঙ্গে নাম লিখিয়ে ফেললেন। গত সোমবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে গুজরাত জিতেছে। এই জেতার পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন শুভমন গিল। তিনি যেভাবে চড়া মেজাজে ব্যাট করেছেন, তা অবশ্যই প্রশংসা করার মতো। প্রায় শতরানের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা স্পর্শ করতে পারলেন না। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তিনি আউট হয়ে যান।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০২২ সালে আইপিএল ক্রিকেটে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৯৬ রানে আউট হয়েছিলেন শুভমন গিল। কলকাতার বিরুদ্ধে ইডেন উদ্যানে গত সোমবার শুভমন ৫৫ বলে ৯০ রান করে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। এই মরশুমে আইপিএল ক্রিকেটে তিনি ৩০০ রানের গণ্ডি পার করে ফেলেছেন। আট ম্যাচে শুভমন ৩০৫ রান করেছেন। ইডেন উদ্যানে শুভমনের ব্যাটে ভর করে গুজরাত দল ১৯৮ রানে ইনিংস শেষ করে। তার জবাবে খেলতে নেমে কলকাতা দল পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। মাত্র ১৪৯ রানে সবাই আউট হয়ে যান। গুজরাত দল ৪৯ রানে ম্যাচ জিতে নেয়।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, কলকাতা নাইট রাইডার্সে তিনি যখন খেলতেন, তখন অনেক প্রত্যাশা ছিল সমর্থকদের। কিন্তু সেই প্রত্যাশা অনুযায়ী শুভমনের কাছ থেকে রান পাওয়া যায়নি। কিন্তু এবারে কলকাতার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে শুভমন গিল বুঝিয়ে দিলেন টপ ফর্মে তিনি রয়েছেন। কখনও মনে হয়নি তিনি চাপে আছেন। দলকে কীভাবে জেতাতে হবে, সে বিষয়েও তিনি দক্ষতার পরিচয় দিলেন। কলকাতার জয়ের আশা কীভাবে মুছে দিলেন, তা দেখতে পাওয়া গেল ইডেন উদ্যানে শুভমনের ভূমিকায়।
শুভমন বুঝতে পেরেছিলেন, কলকাতার জয়ের আশা অনেকটা কমে এসেছে ভেঙ্কটেশ আইয়ার আউট হওয়ার পরে। যদিও গুজরাত তার আগে থেকেই ম্যাচে যথেষ্ট এগিয়ে ছিল। কিন্তু শুভমন একটু বেশিই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা ম্যাচে এগিয়েছিলাম, কিন্তু এগিয়ে থাকা আর জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে। ভাল দল যখন রান তাড়া করে, তখন ধীরে ধীরে ম্যাচটা শেষের দিকে নিয়ে যায়। ওই উইকেট কেকেআরের সেই আশা কমিয়ে দেয়। তাই আমি ওই ভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ফেলেছিলাম।’ আসলে দলের প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিলেন। যার ফলে কলকাতাকে হারানো কঠিন হয়নি। প্রথম দিকে ভেবেছিলাম আমাদের রান সংখ্যা খুব একটা ভালো জায়গায় নেই। তাই কৌশলগতভাবে ম্যাচের চরিত্র বদল করে নিতে হবে। আর এই চরিত্রটা বদল করার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রশংসা করতে হবে বোলারদের। তাই ম্যাচটা জিতে আমরা
মাঠ ছেড়েছি।