বিওএ-র প্রথম কার্যকরী সভায় হট্টগোল

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি হওয়ার পরে প্রায় আট মাস বাদে প্রথম এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিং হল। এই সভার স্থান যেখানে নির্দিষ্ট করা হয়েছিল, সেখানে সদস্যরা উপস্থিত হয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রয়েছেন দরজার সামনে। কিন্তু দরজা খোলার কোনও অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। কী হল এমন? সভার স্থানে দরজা কেন খোলা হচ্ছে না? দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের কাছ থেকে অনুরোধ করা হল চাবি দেওয়ার জন্য।

কিন্তু তাঁরা জানিয়ে দিল, তাঁদের পক্ষে চাবি দেওয়া সম্ভব হবে না, কারণ ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের কাছ থেকে কোনওরকম অনুমতি পাওয়া যায়নি। খোঁজ পড়তেই জানা গেল, ওই নির্দিষ্ট কনফারেন্স রুম পাওয়ার জন্য কোনওরকম চিঠি দেওয়া হয়নি। তাই অনুমতি পাওয়া যাবে কোথা থেকে? ছোটাছুটি শুরু করলেন বিওএ-র সভাপতি চন্দন রায়চৌধুরি ও সচিব জহর দাস। এরই মধ্যে আওয়াজ উঠল, তাহলে আজকের সভা বাতিল করে দেওয়া হোক। কিন্তু সভা বাতিল না করে বিওএ-র নির্দিষ্ট কনফারেন্স রুমে ওই সভার আয়োজন করা হল। ওই ছোট্ট ঘরে কীভাবে প্রায় ৫০ জন সদস্য আলোচনার জন্য বসবেন! দেখা গেল, সভাকক্ষ থেকে বাইরে অনেক সদস্যই এলোমেলোভাবে বসে রইলেন। সভায় কী আলোচনা হচ্ছে, হয়তো তাঁদের কানেও পৌঁছয়নি।

আলোচনার শুরুতেই বেশ কয়েকজন সদস্য এবারের রাজ্য গেমস ও অলিম্পিক ডে রানের অনুষ্ঠান নিয়ে হইচই শুরু করে দেন। অনেকেই বলতে থাকেন, বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন অনুমোদিত সংস্থা না হয়েও তারা সুযোগসুবিধা যেমন পেয়েছে, তেমনই নির্দিষ্ট গেঞ্জিও তারা পেয়েছে।


তবে বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হওয়ার কী যুক্তি আছে? আবার অনেকেই বলেন, এবারের রাজ্য গেমস ভালোভাবেই অনুষ্ঠিত হয়নি। গত দু’বছর যেভাবে রাজ্য গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি। এখনও অনেক সংস্থাই তাদের প্রাপ্য অর্থ পায়নি। আবার সদস্যরা বলতে থাকেন, পদকজয়ীদের জন্য নির্দিষ্ট আর্থিক পুরস্কারও অনেকের কাছে পৌঁছয়নি। অলিম্পিক ভবনের কথা উঠতেই সেইভাবে কর্মকর্তারা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। তাহলে স্পষ্ট হয়ে উঠছে, বিওএ-র কার্যকরী সমিতির সদস্যরা কোনও পরিকল্পনা নিয়ে সেইভাবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন না।