ভারতের ইতিহাসে ১১ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক দিন। এই দিনেই ১৮৯৩ সালে স্বামী বিবেকানন্দ শিকাগো ধর্ম মহাসভায় ঐতিহাসিক বক্তব্য রেখে ভারতের সম্মানকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দিয়েছিলেন। সেই দিনটাকে স্মরণ করে ১৩৩ তম বর্ষে স্বামীজির আদর্শ ছাত্র-যুব সমাজের কাছে ছড়িয়ে দিতে খেলাধুলোকে প্রাধান্য দিয়ে এবং জেলা থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের তুলে আনার শপথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনায় ‘স্বামী বিবেকানন্দ কাপ’ জেলা ক্লাব ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ বৃহস্পতিবার থেকে স্বামীজির কর্মভূমি বেলুড় মঠের ময়দানে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ফুটবলে কিক মেরে সূচনা করলেন। স্বামী উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মহারাজ বোধসরানন্দজি মহারাজ, ও স্বামী জ্ঞানব্রতানন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উজ্জ্বল উপস্থিতিদের মধ্যে ছিলেন, মন্ত্রী অরূপ রায়, মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি, স্থানীয় বিধায়ক রানা চ্যাটার্জি, বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, বিধায়ক গৌতম চৌধুরী, আই এফ এ-র সভাপতি অজিত ব্যানার্জি সহ ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহমেডানের কর্মকর্তা ও প্রাক্তন খেলোয়াড়েরা।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তর এবং আইএফএ যৌথভাবে এই ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। খেলা চলবে তিন মাস ব্যাপী। এই টুর্নামেন্ট ২৩ টি জেলা মিলিয়ে মোট ৩৪৮ টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। পুরস্কার মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। এই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৫ লক্ষ টাকা ও রানার্স দল পাবে ৩ লক্ষ টাকা।
ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, যুব সমাজের কাছে সবচেয়ে প্রিয় খেলা ফুটবল। কলকাতা ফুটবল লিগে একটা সময় ঘরের ছেলেদের দাপট দেখতে পাওয়া যেত। কিন্তু বেশ কয়েকবছর হল কলকাতা ময়দানে তাঁদের দেখা যাচ্ছে না। অনেকের মুখেই শুনতে হয় সেই প্রতিভাবান ফুটবলারদের অভাবে ভিন রাজ্য থেকে খেলোয়াড়দের নিয়ে আসতে হচ্ছে কলকাতায়। এটা নিশ্চয়ই বাংলার ফুটবলের কাছে ভালো বার্তা নয়। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ঘরের ফুটবলারদের যত প্রাধান্য দেওয়া যাবে ততই বাংলার ফুটবল সমৃদ্ধ হবে। সেই ভাবনাতেই স্বামী বিবেকানন্দ কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন জেলার প্রতিভাবান ফুটবলারদের তুলে আনা হবে। তারাই হবে আগমী দিনে বাংলার ফুটবলের সম্পদ। সেই কারণেই বিভিন্ন জেলায় এই প্রতিযোগিতা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।