বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন খেলোয়াড়দের জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতাকে ঘিরে সল্টলেকের সাই কমপ্লেক্সে উৎসবের চেহারা নিয়েছিল। দেশের ২২টি রাজ্য থেকে আসা ৩০০-র বেশি ক্রীড়াবিদ তিন দিন ধরে সিনিয়র, জুনিয়র ও সাব-জুনিয়র বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন অ্যাথলিটদের জন্য চলতি বছরে এত বড় প্রতিযোগিতা অতীতে হয়নি। এই স্পেশাল অলিম্পিক জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় সবার মধ্যেই একটা অন্য অনুভূতি খেলা করেছে।
সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্পেশাল অলিম্পিক্স ভারতের সভাপতি ডঃ মল্লিকা নাড্ডা। তিনি খেলোয়াড়দের শৃঙ্খলা, সাহস এবং স্পোর্টসম্যানশিপের প্রশংসা করেন।
প্রতিযোগিতায় ছিল স্পেশাল অলিম্পিক্সের প্রচলিত ফরম্যাট— বিশেষত সিনিয়র বিভাগে ইউনিফাইড ৫-এ-সাইড ফুটবল, যেখানে তিন জন অ্যাথলিটদের সঙ্গে খেলেন দুই জন পার্টনার। ছোটোদের বিভাগে ছিল মানানসই নিয়ম। কর্মকর্তাদের মতে, এ ম্যাচগুলি ২০২৭ সান্তিয়াগো স্পেশাল অলিম্পিক্স ওয়ার্ল্ড সামার গেমসের প্রাথমিক নির্বাচনী ধাপ।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে ২০২৩ বার্লিন গেমসে ভারতে আসে ২০০টি পদক, আর ২০২৫ তুরিন শীতকালীন গেমসে ৩৩টি পদক, যা বৃদ্ধির ধারাকে স্পষ্ট করে। তিনি আরও জানান, ভারতের ইউনিফাইড পুরুষ ও মহিলা বাস্কেটবল দল আগামী ৩ ডিসেম্বর পুয়ের্তোরিকোর বিশ্ব গেমসে খেলবে। পাশাপাশি সুইডেনের গথিয়া কাপ ভারত জিতেছে টানা দুই বছর।
২০২৩ বিশ্ব গেমসে বাংলার অ্যাথলিটরা জিতেছিলেন ৯টি সোনা, ৪টি রুপো ও ১টি ব্রোঞ্জ। ২০২৫ সালে সৌরভ রায়, পুষ্পল কর ও বিকি দুলেই ছিলেন ভারতের গথিয়া কাপজয়ী দলে।
স্পেশাল অলিম্পিক্স ভারতের সহ-সভাপতি ও পশ্চিমবঙ্গ অধ্যায়ের প্রেসিডেন্ট সি এ পবন কুমার পাতোদিয়া বলেন, বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্রীড়াবিদদের খেলাধুলো, স্বাস্থ্য ও নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে সংস্থা। তাঁরা ভয়হীনভাবে লড়াই করে। তারা সহানুভূতি নয়—সমান সুযোগ চায়।
মনে রাখতে হবে যে কোনও খেলায় অন্তর্ভুক্তি মাঠেই ফুটে ওঠে। উদ্যম, আন্তরিকতা, ভালোবাসা ও দলগত চেষ্টায় তাঁরা সবাইকে গর্বিত করেন।