আইপিএল ক্রিকেটে পাঞ্জাব কিংস দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার এবারে সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই প্লে-অফ ম্যাচ খেলার জন্য পাঞ্জাব ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে। একমাত্র অধিনায়ক শ্রেয়স, যিনি তিনটি দলকে নেতৃত্ব দিয়ে প্লে-অফে নিয়ে গিয়েছেন। প্রথমে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন। অবশ্য সেবার তাঁর হাতে আইপিএল ট্রফিটি শোভা পায়নি। পরবর্তীতে কলকাতা নাইটরাইডার্স দলের অধিনায়ক হিসেবে শুধু দলকে ফাইনালে তোলেননি, দিয়েছেন ট্রফিও।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইটরাইডার্স দলে সফল অধিনায়ক শ্রেয়সকে রেখে দেওয়ার ভাবনা আসেনি। কিন্তু মেগা নিলামে শ্রেয়সে তুলে নেয় পাঞ্জাব কিংস দল। পাঞ্জাবে যোগ দিতেই তাঁকে অধিনায়কের দয়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পরেই শ্রেয়স তাঁর সাহসী মনোভাব নিয়ে প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করেছেন, তা অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার মতো। তিনি যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেছেন, তার জন্য অবশ্যই কোচ রিকি পন্টিংকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দিল্লির হয়ে শ্রেয়স যখন খেলছিলেন, তখন দলের কোচ ছিলেন রিকি পন্টিং। সেই কারণে এবারে পাঞ্জাবের দায়িত্ব নেওয়ার পরে দু’জনের আন্তরিকতায় পুরো দলটাই বদলে যায়। ১১ বছর বাদে লিগের প্রথম দুইয়ে শেষ করেছে পাঞ্জাব। এই সাফল্য অবশ্যই অন্য যে কোনও দলকে ভাবিয়ে তুলবে। কোচ রিকি পন্টিংয়ের দুর্দান্ত কৌশল যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে, তাই হাতিয়ার করে পাঞ্জাব দল প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে।
কোচ রিকি পন্টিং অনুশীলনের শুরু থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের মধ্যে যে সাহসিকতা রয়েছে, তাকে কাজে লাগাতে পারলে অবশ্যই দলের জয় নিশ্চিত। সেই কারণেই শ্রেয়সের প্রতি যে বিশ্বাস জন্মিয়েছে, তা দলের কাছে বড় হাতিয়ার হিসেবে দেখা দিয়েছে। পন্টিং মাঠে সবসময় অধিনায়ককে স্বাধীনতা দিয়েছেন নিজের মতো দলকে সাজাতে। সেখানে কখনওই হস্তক্ষেপ করেননি। কোচ ও অধিনায়কের সমন্বয় দলকে সবসময়ই এগিয়ে রাখত। কখনওই ড্রেসিংরুমে কারওর সঙ্গে ব্যবধান তৈরি করতে দেননি। দলের জয় বলতেই সংহতির পরিচয়। সেখানেই জয়ের বার্তা কথা বলে।