ভারতীয় দলে ব্রাত্যই থেকে গেলেন শ্রেয়স ও সরফরাজ

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

মুম্বই— চলতি মরশুমে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। আইপিএল ক্রিকেটে নতুন দল পাঞ্জাব কিংসের দায়িত্ব নিয়ে তিনি প্লে-অফ ম্যাচে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছেন। গতবছর কলকাতা নাইটরাইডার্স দলের অধিনায়ক হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোনামে উঠে আসেন। এবাদে একমাত্র ক্রিকেটার আইপিএল ক্রিকেটে, যিনি তিনটি দলকে নেতৃত্ব দিয়ে প্লে-অফে তুলে আনার কৃতিত্ব রয়েছে। পাঞ্জাব কিংসের হয়ে তিনি যেভাবে ব্যাট করছেন, তাতে অন্য ব্যাটসম্যানরা সেইভাবে জায়গা পাচ্ছেন না। স্বাভাবিকভাবে ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় দলে অভিজ্ঞ শ্রেয়স আইয়ারের জায়গা হবে না, এটা কেউই মেনে নিতে পারছেন না। হয়তো প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর বেশকিছু কারণ দেখাবেন এবং বলতে চেষ্টা করেছেন, লাল বলের খেলায় শ্রেয়সের কোনও জায়গা নেই। অহেতুক কারণ দেখিয়ে এইভাবে একজন সাহসী ব্যাটসম্যানকে বাদের তালিকায় রাখা হল। এটা অবশ্যই অন্যায়। শ্রেয়সের ব্যাটিংয়ে একটা ভয়ডরহীন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।

প্রতিপক্ষ দলের বোলারদের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে খেলতে পারেন। সাদা বলে হয়তো তিনি আরও বেশি মারকুটে হন, তাই বলে লাল বলে তিনি খেলতে পারবেন না, সে ধারণা পোষণ করেন অজিত আগরকর? আসলে শ্রেয়স নির্বাচকদের সন্তুষ্ট করতে পারেননি, এমন মনোভাব প্রকাশ করেছেন আগরকর। যদি শ্রেয়সের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা হয় বা সন্দেহ হয়, তাহলে সরফরাজ খানকে বাদ দেওয়া হল কেন? তার উত্তরে আগরকর বলেন, কোনও কোনও সময়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেহয়, কিছু করার থাকে না। সরফরাজ প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন। কিন্তু তারপরে সেইভাবে রান করতে পারেননি। হয়তো সেই কারণেই সরফরাজকে বাদের তালিকায় রেখে ভারতীয় দল গঠন করা হয়েছে।

অজিত আগরকরের অভিমত, দল গঠন করার ক্ষেত্রে সবসময় তরুণদের দিকে নজর রাখতে হয়। করুণ নায়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর রান করেছেন। আবার টেস্ট ক্রিকেটও খেলেছেন। কাউন্টি ক্রিকেটেও তাঁর পারফরম্যান্স ভালো। বিরাট দলে না থাকাতে, নিশ্চয়ই একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। সেই শূন্যতা ভরাট করার জন্য একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের প্রয়োজন রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে করুণ নায়ারের কথাটা ভাবা হয়েছে।


অন্যদিকে বোলার বরুণ চক্রবর্তী নজর কাড়লেও নির্বাচকদের চোখে পড়েনি। তাঁর জায়গা হল না ভারতীয় দলে। আইপিএল ক্রিকেটে তিনি যেভাবে উঠে এসেছেন, তার মর্যাদা পেলেন না। অনেকে বলছেন, টেস্ট দলে বরুণের জায়গা হওয়া বেশ কঠিন। সাধারণত একদিনের বা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বরুণ আসতে পারেন। সবদিক দিয়েই বলতে পারা যায়, ভারতীয় দলকে ইংল্যান্ডের মাঠে কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে থাকতে হবে।