চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় রিয়াল-বায়ার্নের

প্রতীকী চিত্র

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কালো ইতিহাস লেখা হলে বুধবার রাতের কথা অবশ্যই লেখা থাকবে কারণ এবারের মতো একই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিযান শেষ করল রিয়াল মাদ্রিদ এবং বায়ার্ন মিউনিখ। সবমিলিয়ে ১-৫ গোলে আর্সেনালের কাছে হারতে হলো গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে। অন্যদিকে জান-প্রাণ লড়িয়ে দিয়েও শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালে যেতে পারল না বায়ার্ন মিউনিখ। সেমিফাইনাল খেলার ছাড়পত্র পেল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন, আর্সেনাল, ইন্টার মিলান এবং বার্সেলোনা।

কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আর্সেনালের ঘরের মাঠ, এমিরেটসে খেলতে গিয়ে গানার্সদের কাছে ৩-০ গোলে হারতে হয় রিয়ালকে। এবার বুধবার দ্বিতীয় লেগের খেলায়, নিজেদের ঘরের মাঠ বার্নাবিউতে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই ছিল ভিনিসিয়াসদের সামনে। বরাবরই রিয়াল মাদ্রিদ তাদের স্বভাবসিদ্ধ ‘কামব্যাকের’ জন্য পরিচিত, কিন্তু এদিন সেটা করতে পারল না তারা। গোলমুখী শট থেকে শুরু করে বল দখলের লড়াই, সব বিভাগেই এগিয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ, তা সত্ত্বেও জয়ের স্বাদ থেকে দূরেই থাকতে হলো রিয়ালকে। পুরো খেলায় রিয়াল ১৮টি শট এবং ৪৩১টি পাস্ খেললেও, লাভের লাভ কিছুই হয়নি লস ব্ল্যাঙ্কোসের। খেলার শুরু থেকেই রিয়াল আঘাত হানতে শুরু করে আর্সেনালের ওপর। তার জবাবে আর্সেনাল পাল্টা আক্রমণ করলেও, প্রথমার্ধ গোলহীন ভাবে শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৫ মিনিটে গোল করে আর্সেনালকে এগিয়ে দেন তাদের রাইট-উইঙ্গার বুকায়ো সাকা। অবশ্য তার মিনিট দুয়েকের মধ্যে সমতা ফেরান ভিনিসিয়াস জুনিয়র।

কিন্তু তখনও সেমিফাইনালের টিকিট কাটা থেকে অনেক দূরে ছিল ভিনিসিয়াসরা। তারপর লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে গেলেও আর গোলমুখ খুলতে পারেনি রিয়াল। ম্যাচের সংযুক্ত সময়ে আর্সেনালের জয়সূচক গোলটি করেন গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি। বুধবারের ম্যাচ শেষ হয় ২-১ ব্যবধানে। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ জয়ী আর্সেনাল। আর্সেনাল শেষ ইউসিএল সেমিফাইনাল খেলেছিল ২০০৯ সালে। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে তাদেরই ঘরের মাঠে হারিয়ে ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল খেলতে চলেছে মিকেল আর্তেতার দল।


অন্যদিকে টানটান লড়াই হয় ইন্টার মিলান এবং বায়ার্ন মিউনিখের। প্রথম লেগে বায়ার্নের ঘরের মাঠে ২-১ জিতেছিল ইন্টার মিলান। কিন্তু বুধবার দ্বিতীয় লেগের খেলায় ম্যাচে ৫২ মিনিটে প্রথম বায়ার্নের হয়ে প্রথম গোলটি করেন তারকা স্ট্রাইকার হ্যারি কেন। ঠিক ৬ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরান লাউতারো মার্টিনেজ। এরপরেই ঠিক ৩ মিনিটের মাথায় বেঞ্জামিন পাভার্ডের গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার মিলান। তবে ৭৬ মিনিটে এরিক দিয়েরের গোলে সমতা ফেরায় বায়ার্ন। সেখান থেকে অবশ্য আর গোল করতে পারেনি তারা। ম্যাচ শেষ হয় ২-২ ব্যবধানে। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ জয়ী ইন্টার মিলান। এর ফলে নিজেদের ঘরের মাঠ স্যান সিরো থেকেই সেমিফাইনাল খেলার ছাড়পত্র পেয়ে যায় ইন্টার মিলান।
আগামী ৩০ এপ্রিল সেমিফাইনালে আর্সেনাল খেলবে পিএসজির বিরুদ্ধে নিজেদের ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে, আর বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলান আগামী ১ মে।