শচীন তেন্ডুলকরের পরামর্শ নিয়ে রাহুল দ্রাবিড়ের এখনও আক্ষেপ

ফাইল চিত্র

ভারতীয় ক্রিকেটে রাহুল দ্রাবিড় অবশ্যই একটা বড় নাম। আবার শচীন তেণ্ডুলকরকে নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট গর্ব অনুভব করে। এই দুই তারকা ক্রিকেটার দীর্ঘদিন একসঙ্গে টেস্ট খেলেছেন। ভারতের বহু ম্যাচ জয়ের পিছনে দু’জনের ভূমিকা কখনওই অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু একটা সময় শচীন তেণ্ডুলকর খেলার মাঠে একটা পরামর্শ দিয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়কে। রাহুল সেই পরামর্শটা মেনেও নিয়েছিলেন, কিন্তু সেই পরামর্শ যে কতবড় ভুল ছিল, তা জানার পরে রাহুল দ্রাবিড়ের আক্ষেপ করা ছাড়া আর অন্য কোনও পথ ছিল না। ভারতের অপর ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে একটা আলোচনার পরিপ্রেস্থিতে সেই ভুলের কথা বলেছেন রাহুল দ্রাবিড়। আর সেই শচীনের পরামর্শটা যে কতবড় ভুল ছিল, তা ১৪ বছর বাদেও মনকে নাড়া দিয়ে যায় দ্রাবিড়কে।

ঘটনাটা ঘটে ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে সেই সফরে ভারত ৪-০ ব্যবধানে হারে। তবে তার মধ্যেও দারুণ পারফর্ম করেছিলেন দ্রাবিড়। ৮ ইনিংসে তিনি করেন ৪৬১ রান। যা ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেই রানটা সম্ভবত আরও বাড়তে পারত। সেটা যে হয়নি তাঁর জন্য কি দায়ী শচীন?

দ্রাবিড় বলেন, ‘সেবার ডিআরএস না নিয়ে আমি খুব ভুল করেছিলাম। সেটা এজবাস্টন টেস্টের কথা। আমি জিমি অ্যান্ডারসনকে একটা শট মারতে গিয়ে মিস করি। আমার কানে ‘টুক’ করে একটা শব্দ আসে। কিন্তু ব্যাটে কিছু টের পাইনি।’ যদিও আম্পায়ার সাইমন টফেল দ্রাবিড়কে আউট দিয়ে দেন। টফেল পাঁচবার আইসিসি’র বর্ষসেরা আম্পায়ার হয়েছিলেন। দ্রাবিড় তখন ১৮ রানে ব্যাট করছিলেন। দ্রাবিড় বলছেন, ‘টফেল যথেষ্ট ভালো আম্পায়ার। যখন উনি কোনও সিদ্ধান্ত নেন, তখন চ্যালেঞ্জ করাও কঠিন হয়ে যায়। তাই আমি উলটো দিকে শচীনের কাছে পরামর্শ নিতে যাই।’


কিন্তু তারপর? রাহুল দ্রাবিড় বলছেন, ‘শচীন আমাকে ডেকে বলে, ‘রাহুল, ব্যাট থেকে কিন্তু যথেষ্ট জোরে আওয়াজ পাওয়া গিয়েছে। আমার মনে হয়, বল ব্যাটেই লেগেছে।’ আমিও ভাবলাম, তাই হবে হয়তো। আমিই ভুল করেছি।’ কিন্তু ড্রেসিংরুমে এসে রিপ্লে দেখে ভুল ভাঙে। অবশেষে সেই ঘটনা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে
নিলেন দ্রাবিড়।