বিশ্বকাপের সময় যথাযথ উইকেট পাওয়ার আশা রবীন্দ্র জাদেজার

রবীন্দ্র জাদেজা (Photo: IANS)

কেনিংটন ওভালে শনিবার ভারতকে যে পিচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলতে হয়েছে বিশ্বকাপে তারচেয়ে ভাল পিচ পাওয়া যাবে বলে আশা রবীন্দ্র জাদেজার।

প্রথম ওয়ার্ম আপ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ভারতকে উড়িয়ে দিলেও রবীন্দ্র জাদেজাই ছিলেন ভারতের একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি দ্রুত অর্ধ শতরান করে ভারতের ব্যাটিংয়ে ধস সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

তবে জাদেজা আশ্বস্ত করেছেন, যে নিউজিল্যান্ডের কাছে হার নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ এটা টিপিক্যাল ইংল্যান্ডের পরিস্থিতি। গােড়ার দিকে উইকেট থাকে নরম এবং ম্যাচ যত এগােয় তত পিচ বা উইকেটের উন্নতি হয়।


জাদেজা বলেছেন, আমরা আশা করছি এরপর উইকেটে এত বেশি ঘাস থাকবে না এবং বিশ্বকাপে ব্যাট করার মতাে ভাল উইকেট পাওয়া যাবে। ভারত শনিবার বােলারদের সহায়ক উইকেটে ১৭৯ রান করে অলআউট হয়ে যায়।

জাদেজা বলেছেন, এটা ছিল আমাদের প্রথম ম্যাচ। আমরা একটি ইনিংস দেখেই খেলােয়াড়দের বিচার করতে পারি না। একটি ইনিংস বা একটি খারাপ ম্যাচ দেখে আমাদের বাটিং নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। ইংল্যান্ডে খেলাটা সবসময়ই কঠিন। আমরা ভারত থেকে এসেছি, যেখানে পাটা উইকেটে খেলা হয়। তবে এখনও আমাদের হাতে সময় রয়েছে নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করার। একটি ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা নিজেদের ব্যাটিং স্কিল নিয়ে আরও কঠিন পরিশ্রম করবাে। প্রত্যেকেরই প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে।

জাদেজা জানিয়েছেন, তিনি ইনিংসসের ২০তম ওভারে ব্যাট করতে আসার পর বাকি ওভারগুলিতে ব্যাটিং করার সুযােগ ব্যবহার করাই উদ্দেশ্য ছিল। আমি বারবার নিজেকে বলেছি আমার শট নির্বাচনে যেন ভুল না হয়। যেহেতু অনেক সময় ছিল তাই আমি দেখেশুনে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিই।

জাদেজাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যেখানে বল সিম করতে পারে এইরকম পরিস্থিতিতে ভারতের প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়েছে কিনা। জাদেজা বলেছেন, আমরা জানতাম বল সিম করতে পারে তাই কঠিন পরিস্থিতির মােকাবিলা করার জন্যই আমরা আগে ব্যাট করতে যাই যাতে বিশ্বকাপের সময় এই রকম পরিস্থিতিতে ব্যাটসম্যানদের সুবিধা হয়। আমরা এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম।

৫০ বলে ৫৪ রান করেছেন জাদেজা শনিবার। জানিয়েছেন, আইপিএল ক্রিকেট চলাকালে তিনি নিজের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছেন। যখন সুযােগ পেয়েছেন তখনই নেটে গিয়ে বেসিক টেকনিক এবং বেসিক শট নির্বাচন নিয়ে তিনি পরিশ্রম করেছেন।