রাবাডার ইয়র্কার আইপিএলের সেরা : সৌরভ গাঙ্গুলি

কিসাগো রাবাডা (Photo: Surjeet Yadav/IANS)

দিল্লি, ৩১ মার্চ – কিং খান বনাম দাদা’র লড়াইতে শনিবার রাতে ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে শেষপর্যন্ত সুপার ওভারে বাজিমাত করে সৌরভ গাঙ্গুলির দিল্লি ক্যাপিটলস দল। তবে, দিল্লি যতই জয়ের মুখ দেখুক না কেন, নাইটরা যেভাবে লড়াই চালিয়েছে তাতে নাইটদের হারটাকে সেভাবে কেউ মেনে নিতে পারছেন না, কারণ, প্রথমে নাইটদের ব্যাটিংয়ে ধস নামানর পর দিল্লির বোলাররা পুরোপুরি ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল রাসেল ও কার্তিকের ব্যাটিংয়ের সামনে পড়ে। এছাড়া ১৮৫ রান তুলে ফেলে নাইটরা ৬১ রানের মধ্যে পাঁচটি উইকেট হারিয়ে ফেলার পরও, দিল্লির বোলাররা সেই কাজে যেমন ব্যর্থ হয়েছে ঠিক তেমনি দলের ব্যাটসম্যানরা ব্যাট করতে নেমে পৃথ্বি’র ৯৯ রান সত্বেও দিল্লি ক্যাপিটলস দল ম্যাচটা টাই করে সুপার ওভারে গিয়ে জয় তুলে নিতে হয়েছিল টেনশনের মধ্যে। দিল্লি জয় পেলেও, তাঁদের যে খুব একটা সহজে জয় উঠে আসেনি ঘরের মাঠে সেটা বলাই ভালো।

‘আঁন্দ্রে রাসেলকে করা সুপার ওভারে কিসাগো রাবাডার বোলিংটা হল চলতি চলতি আইপিএলের সেরা। যেভাবে রাসেল ভালো খেলাটা মেলে ধরেছিল তারপর সেখান থেকে সুপার ওভারে ওঁর কাছে রান করাটা কোনও বড় ব্যাপার ছিল না। কিন্তু রাবাডা যে ইয়র্কার বোলিংটা করেছিল এবং আউট করল রাসেলকে সত্যিই অসাধারণ। ম্যাচটা সত্যিই একটা দারুণ মোড়ের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে। তবে আমি আবারও বলব দলের ক্রিকেটাররা অসাধারণ পারফরমেন্স করেছে। এই পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা আগামী ম্যাচেও বজায় থাকবে’ এমন কথাই রবিবার জানালেন দিল্লি ক্যাপিটলস দলের পরামর্শদাতা সৌরভ গাঙ্গুলি।

এছাড়া প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক তথা দিল্লি ক্যাপিটলস দলের পরামর্শদাতা আরও জানান, ‘একটা সময় পৃথ্বি যে ইনিংসটা খেলেছিল তা সত্যি অসাধারণ। কোনও কথা হবে না ওই ইনিংসটা নিয়ে। এতো মনকাড়া ইনিংস খেলেছে তরুণ পৃথ্বি তা দেখে আমরা সকলেই মুগ্ধ। কিন্তু অল্পের জন্য শতরান পেল না এটাই যা আফশোস। তবে, সুপার ওভারে দশ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখে বিপক্ষ দলে রাসেলের মতন ব্যাটসম্যান থাকার পরও জয় তুলে নেওয়াটা সত্যিই অসাধারণ ব্যাপার। রাবাডার যত প্রশংসা করব ততটাই কম হবে। যাইহোক গত বছর ভালো না খেলেও, এবছর এই দলটা প্রতিটা ম্যাচে জয়ের জন্য ঝাঁপাবে। কারণ এই দলে অনেক তরুণ ক্রিকেটাররা রয়েছে। যাঁদের মধ্যে ক্রিকেটের প্রতি আলাদা একটা প্যাশন রয়েছে। এবং কিছু করে দেখানোর জন্য তাঁরা বার বার প্রস্তুতি নিচ্ছে।। আমার বিশ্বাস তরুণ ক্রিকেটাররা যেভাবে মানসিক দিক দিয়ে প্রস্তুত হয়ে রয়েছে সেখানে তারা আগামিদিনে নিজেদের সেরা খেলাটা আরো ভালোভাবে মেলে ধরবে এবং নিজেদের পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে সেটা আমি বিশ্বাসের সঙ্গে আগাম বলে দিতে পারি। এই দলটার খেলোয়াড়দের মধ্যে নতুনত্ব কিছু একটা করে দেখানোর মানসিকতা রয়েছে সেটাই এই দলটাকে আগামিদিনে আরো সামনের দিকে নিয়ে যাবে এবং প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করবে সেটা বলতেও আমি দ্বিধা বোধ করছি না’।