আজ সুপার কাপে শেষ চারে ইস্টবেঙ্গলের সামনে পাঞ্জাব

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

সুপার কাপ ফুটবলের সেমিফাইনাল ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হবে পাঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে। লাল-হলুদ কোচট অস্কার ব্রুজো অত্যন্ত সচেতন প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ছক নিয়ে। যেহেতু নকআউট পর্যায়ের খেলায় ইস্টবেঙ্গলকে অংশ নিতে হবে, তাই যাতে পরিকল্পনায় কোনওরকম ত্রুটি না থাকে, সেদিকটা কড়া নজর দিয়েছেন কোচ। তবে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। গোয়াতে বেশ কয়েকদিন আগেই ইস্টবেঙ্গল দল পৌঁছে গিয়েছিল যাতে খেলোয়াড়রা এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেন তার জন্য।

ইস্টবেঙ্গলের মতো পাঞ্জাব এফসি পাঁচ বিদেশিকে নিয়ে মাঠে নামবে। সম্প্রতি ২৯ বছর বয়সী নাইজেরিয়ান ফুটবলার বেদে আমারাচি আসুজিকে সই করিয়েছে। নসুঙ্গুসি এফিয়ং পাঞ্জাবের দলের আক্রমণে অন্যতম সেরা অস্ত্র। গত মরশুমে উজবেকিস্তানের সর্বোচ্চ স্তরের ক্লাব ফুটবলে সাতটি গোল করেন এই ২৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। এ ছাড়া বসনিয়ান মিডফিল্ডার সামির জেলস্কোভিচ তাঁর দলের মাঝমাঠে এক বড় ভরসা। যিনি পাঞ্জাব এফসি-র বেশিরভাগ আক্রমণেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাদের রক্ষণে খাইমিনথা লুংডিমও বড় ভরসা। গ্রুপ লিগে পাঞ্জাব এফসি একটিও গোল খায়নি। তারা ছাড়া শুধু মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ও বেঙ্গালুরু এফসি এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পেরেছে।

তবে অস্কারের চিন্তা তাঁর রক্ষণ নিয়ে। কারণ, নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার জয় জয় গুপ্তা কে সম্ভবত পাবেন না তিনি। সদ্য পায়ে চোট পেয়েছেন তিনি। ফলে সম্ভবত তাঁকে বাদ দিয়ে দল নামাতে হতে পারে অস্কারকে। তবে তাঁর দলের বিদেশিরা ডিফেন্ডার কেভিন সিবিল, মিডফিল্ডার মিগেল ফেরেইরা, সল ক্রেসপো, মহম্মদ রশিদ এবং দুই স্ট্রাইকার হিরোশি ইবুসুকি ও হামিদ আহদাদ—সবাই ভাল ফর্মে রয়েছেন। এটাই কোচ অস্কার ব্রুজোনের আত্মবিশ্বাসের প্রধান উৎস।ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণে আনোয়ার আলি, লালচুঙনুঙ্গা, মাঝমাঠে শৌভিক চক্রবর্তী, নাওরেম মহেশ সিং, বিপিন সিং, পিভি বিষ্ণু এবং আক্রমণে এডমন্ড লালরিন্দিকা, ডেভিড লালনসাঙ্গা কোচকে ভরসার বার্তা দেবেন।