কলকাতা ফুটবল লিগে সোমবার অভিযান শুরু করছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। নৈহাটি স্টেডিয়ামে মোহনবাগানের সঙ্গে খেলবে পুলিশ এসি। পুলিশ দলে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ফুটবলার রয়েছেন। কিন্তু সবুজ মেরুন শিবিরে তরুণ ফুটবলাররা বেশ উজ্জীবিত। গত মরশুমে লিগ কার্ডোজো অন্যছকে খেলবার জন্যে ফুটবলারদের তৈরি করেছেন। তিন মনে করেন প্রথম ম্যাচটা কঠিন হতে পারে। তবে তরুণ ফুটবলাররা তৈরি রয়েছেন সেরা খেলা উপহার দিয়ে জয় তুলে আনা। কোচ আরও বলেন, মাত্র দু’সপ্তাহ সময় পাওয়া গেছে। কিছুটা চাপের মধ্যে থাকতেই হবে। আমাদের কিছু করার ছিল না। আসলে সামনে অন্য প্রতিযোগিতা আছে। যদিও আরও কিছুটা সময় পেলে ভালো হতো। আবার বলছি তরুণ ফুটবলাররা আত্মবিশ্বাসী। লড়াকু মনোভাব রয়েছে সবার।
তবে কলকাতা ফুটবল লিগে প্রথম দলের ফুটবলার সুহেল ভাট ও দীপেন্দু বিশ্বাসকে খেলানো হবে কীনা তা স্পষ্ট করেননি কোচ। ম্যানেজমেন্টের সিদ্দান্ত যাঁরা প্রথম দলে জায়গা পান না, তাদের খেলানো হবে কলকাতা ফুটবল লিগে। তখন দেখা যাক কীভাবে দল গঠন করা যাবে। প্রচুর অভিজ্ঞ ফুটবলার রয়েছেন। কখন তারা কোন দলের বিপক্ষে খেলবেন তা সময় কথা বলবে। নিঃসন্দেহে মোহনবাগানের রক্ষণভাগ সামলাবেন আদিত্য মণ্ডল অচিন্ত্যদের নিয়ে।
রবিবার যুবভারতীতে অনুশীলন চলাকালীন মোহনবাগানের তরুণ ব্রিগেডকে উৎসাহিত করবার জন্যে মেরিনার্স অনসাইড ও রক্তে মোহনবাগান সদস্যরা এসেছিলেন। মরশুমের প্রথম ম্যাচে অংশ নেওয়ার আগে ফুটবলারদের উত্তরীয়, ফুল, ঘড়ি ও জগন্নাথের মূর্তি তুলে দেন সদস্যরা। কোচ ডেগি কার্দোজের হাতে তুলে দেওয়া হল শুভেচ্ছা স্মারক। কোচের মুখে একগাল হাসি শরীরীভাষায় বলে দিচ্ছিল তিনি কতটা খুশি। এই অসাধারণ মুহূর্তটা তাঁর কাছে বড় প্রেরণা। সেই প্রেরণায় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে গোল করবার জন্যে সবুজ মেরুন তরুণ ফুটবলাররা গোল করে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাবেন।