কলকাতা ফুটবল লিগে প্রিমিয়র ডিভিশনের খেলায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস হোঁচট খেল। শুক্রবার মোহনবাগান জেতার লক্ষ্যে জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেমেছিল। জিতলে মোহনবাগানের জয়ের হ্যাটট্রিক হত। তা হাতছাড়া হয়ে গেল জর্জ টেলিগ্রাফের সঙ্গে গোলশূন্যভাবে খেলা শেষ করে।
এককথায় বলা যায়, নৈহাটি স্টেডিয়ামে মোহনবাগানের খেলা দেখে কখনওই মনে হয়নি, তারা জেতার লক্ষ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে চাইছে প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে। একেবারে নির্বিষ খেলায় কোনও পক্ষই গোল করতে পারেনি। অবাক হতে হয়, সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের করুণ অবস্থা দেখে। কোচ ডেগি কার্ডোজের ফুটবলাররা এইভাবে দান ছেড়ে দেবে, তা ভাবতেই পারা যায়নি। গত ম্যাচে স্ট্রাইকার সালাউদ্দিন আদনান লালকার্ড দেখায় এদিন মাঠে নামতে পারেননি। কিন্তু তাঁর জায়গায় মাঠে নামানো হয় শিবম মুণ্ডাকে। কোনও সময়ের জন্যই তাঁকে ছন্দে দেখতে পাওয়া যায়নি। সালাউদ্দিন না খেললে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের আক্রমণে কোনও ভার থাকবে না, এমন কথা বলতে হবে!
মোহনবাগানের করুণ অবস্থা দেখে সবাই হায় হায় করছেন। বৃষ্টিভেজা মাঠে জর্জ টেলিগ্রাফ যেমন খেলতে পারেনি, আবার মোহনবাগানেরই একই অবস্থা। গোল করার জন্য কোনও সময়েই দুই দলের খেলোয়াড়রা সেইভাবে আক্রমণে উঠে আসার চেষ্টাও করেনি। এই খেলা দেখে মনে হয়েছে, যেখানে মোহনবাগান খেলছে, সেখানে খেলার চরিত্র বদলাবে না, তা কি হয়। যতই বলা হোক না কেন, তরুণ ব্রিগেড খেলছে, তাহলে ধরেই নেওয়া যেতে পারে, কোনও প্রতিভাবান ফুটবলারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
খেলার শুরুতেই জর্জ টেলিগ্রাফ গোল করার মতো সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল। দূরপাল্লার একটা শট গোলপোস্টের উপর দিয়ে উড়ে যায়। ২২ মিনিটের মাথায় মোহনবাগান কর্নারের কাছাকাছি জায়গা থেকে ফ্রিকিক পেয়েছিল। বক্সের মধ্যে ভাসানো বলটি জর্জ টেলিগ্রাফের গোলরক্ষক খুব সহজেই নিজের আয়ত্তে নিয়ে নেয়। এর পরেও মোহনবাগান আরও একটি কর্নার পায়। কিন্তু গোল করার মতো জায়গায় তারা পৌঁছতে পারেনি। বরঞ্চ কোচ সায়ন্তন দাসের ফুটবলাররা পরপর দু’টি সুযোগ করেছিলেন। তবে মোহনবাগানের রক্ষণভাগকে ভেদ করে গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছলেও কোনও ফলশ্রুতি হয়নি। খেলার প্রথমার্ধে কোনও পক্ষই গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুযোগ এসে যায় মোহনবাগানের সামনে।
৬১ মিনিটেও সুযোগ হারায় সবুজ-মেরুন। ৬৭ মিনিটে জর্জের ফুটবলাররা মোহনবাগান রক্ষণে হানা দেন। ৮০ মিনিটেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি জর্জ টেলিগ্রাফ। ম্যাচের একেবারে অন্তিমে, ৯৩ মিনিটে গোলকিপারকে একলা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি সবুজ-মেরুন ফুটবলার। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস প্রথম ম্যাচে হার স্বীকার করেছিল পুলিশ এসি’র কাছে। তারপরে দুটো ম্যাচে জয়ের মুখ দেখে মোহনবাগান। চতুর্থ ম্যাচে ড্র করে পয়েন্ট হারাল। চার ম্যাচে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের সংগ্রহে ৭ পয়েন্ট।