এশিয়া কাপ ক্রিকেটে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শুক্রবার মাঠে নামছে ভারতীয় দল। প্রতিপক্ষ ওমান। স্বাভাবিকভাবে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ব্রিগেড নিরমরক্ষা ম্যাচে লড়াই করবেন। ইতিমধ্যেই ভারত শেষ চারে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে। তবে, কোচ গৌতম গম্ভীর কোনওভাবেই এই ম্যাচটাকে গুরুত্বহীন বলে ভাবছেন না। এই ম্যাচে প্রথম একাদশে এমন কয়েকজন ক্রিকেটারকে প্রয়োজনে বদল করা হতে পারে, এমন ধারণাও ভারতের ড্রেসিংরুমে শোনা গেছে। বিশেষ করে তারকা বোলার যশপ্রীত বুমরাকে এই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে। সেই জায়গায় খুব সম্ভবত আর্শদীপ সিংকে খেলানো হতে পারে।
পাশাপাশি, ব্যাটসম্যানদের মধ্যেও বদল হতে পারে। সেই কারণেই রিজার্ভে যে সমস্ত খেলোয়াড়রা রয়েছেন, তাঁদেরকে দেখে নেওয়ার একটা প্রবণতা থাকবে কোচ গৌতম গম্ভীরের। সবাই ভালো করেই জানেন, আগামী রবিবার ভারতকে খেলতে হবে শেষ চারের খেলায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।
বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে হারিয়ে সুপার ফোরে পৌঁছে গেল পাকিস্তানও। এখনই ভারতীয় দলকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানালেন পাকিস্তান অধিনায়ক সলমন আঘা। আসলে, পহেলগাম হামলার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যেকার রাজনৈতিক সম্পর্ক চরম আকার ধারণ করেছে। সেই আবহে এশিয়া কাপের গ্রুপ লিগের ম্যাচে ভারত ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানকে। তারপরেই শুরু হয় নতুন বির্তক। ম্যাচ শেষে ভারতীয় দল পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত না মিলিয়েই সাজঘরে ফিরে যান। পাকিস্তান দল মাঠের মধ্যে কিছুক্ষন অপেক্ষা করে ফিরে সাজঘরে ফিরে যায়। বিষয়টিকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বয়কট করে পাকিস্তান দল।
এই ঘটনার জন্য ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে দায়ী করে তাঁদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয় এবারের এশিয়া কাপের বাকি ম্যাচের দায়িত্ব থেকে তাঁকে যেন সরিয়ে দেওয়া হয়। আর তা না হলে এবারের এশিয়া কাপ তারা বয়কট করবে বলেও জানায় পাকিস্তান। কিন্তু, তাঁদের সেই দাবি মানেনি আইসিসি। ফলে, ওমান ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলন বাতিল করে দেয় পাকিস্তান।
তবে, চাপের মুখে শেষপর্যন্ত ম্যাচ খেলতে একপ্রকার বাধ্য হয় তাঁরা। আর সেই ম্যাচ জিতে উঠেই কার্যত হুমকির সুরে পাক অধিনায়ক সলমন আঘা জানান, তাঁর দল যে কোনও চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি। আঘা বলেন, তাঁদের ব্যাটিংয়ে কিছুটা উন্নতির প্রয়োজন। দ্বিতীয়বার ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে এই বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার কথাও শোনা যায় তাঁর মুখে। আগামী রবিবার সুপার ফোরের ম্যাচে ফের একবার মুখোমুখি হবে চির-প্রতিদ্বন্দী দুই দেশ। দুই দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার এই আবহে শেষ চারের লড়াইয়ে বাজিমাত করতে পারে কোন দেশ, সেটাই এখন দেখার বিষয়।