ভারত-অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে দাপট ভারতীয় স্পিনারদের। মূলত, তাদের দাপটেই পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন সূর্যকুমার যাদব, শুভমান গিল’রা। বৃহস্পতিবার, গোল্ডকোস্টে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ফের একবার টসে হারেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে, ভারতের ব্যাটিং অর্ডার এই ম্যাচে চূড়ান্ত ব্যর্থ। একমাত্র শুভমন গিল ছাড়া কেউই বলার মতো রান পেলেন না। ব্যক্তিগত ৪৬ রানে আউট হন তিনি। অবশ্য শুরুটা চেনা-পরিচিত আক্রমণাত্মক মেজাজেই করেছিল ওপেনার অভিষেক শর্মা। কিন্তু, ২১ বলে ২৮ রান করে অ্যাডাম জাম্পার গুগলিতে পরাজিত হলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। টিম ডেভিডের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফিরতেই ভারতীয় ব্যাটিংয়ে কার্যত ধ্বস নামলো। তিন নম্বরে নেমে ভালো শুরু করেও নাথান এলিসের বলে বোল্ড হন শিবম দুবে। ব্যাট হাতে এদিন তাঁর অবদান ১৮ বলে ২২ রান। এরপর একে একে ফিরে যান সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্মা’রা। শেষদিকে অবশ্য অক্ষর প্যাটেলের লড়াকু ১১ বলে ২১ রানের ইনিংসের ফলে ভারতের স্কোর নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৬৭ রানে পৌঁছায়।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য খুব একটা খারাপ করেনি অস্ট্রেলিয়াও। প্রথম উইকেটের জুটিতে তারা তোলে ৩৭ রান তারা।পরবর্তীকালে, ভারতীয় স্পিনারদের দাপটে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে যায় অজি ব্যাটসম্যানরা। এইসময়, রানের গতি বাড়াতে গিয়ে নিজেরদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনেন জশ ইংলিশ, টিম ডেভিড’রা। মূলত, পিচের গতি মন্থরতাকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক উইকেট তুলে নিতে থাকেন ওয়াশিংটন সুন্দর, অক্ষর প্যাটেলরা। তাঁদের যোগ্য সঙ্গত করলেন মিডিয়াম পেসার শিবম দুবে। মূলত, তাঁদের দাপটেই একটা সময়ের পর ম্যাচ থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তাদের শেষ পাঁজন ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেউই দুই সংখ্যার রানে পৌঁছতে পারেননি। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে তিন উইকেট পেলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। দুটি করে উইকেট পেলেন অক্ষর প্যাটেল ও শিবম দুবে। এছাড়াও একটি করে উইকেট পেয়েছেন অর্শদীপ সিং, যশপ্রীত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী’রা। শেষপর্যন্ত, ৪৮ রানে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।
তবে, ম্যাচ জিতলেও কোচ গৌতম গম্ভীরের চিন্তা বাড়াবে ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপ। আগামী বছরের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই লক্ষ্যে এদিনও বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালালেন গম্ভীর। এই ম্যাচে আচমকাই শিবম দুবেকে তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হল। মিডিল অর্ডারে পাঠানো হল তিলক বর্মাকে। তবে, তা যে বিশেষ কাজে আসেননি, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু, এদিন ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ছিল পুরোপুরি ঢেকে দিলেন বোলারেরা। যা নিঃসন্দেহে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে ভারতীয় দলকে।