আরব আমিরশাহিকে বড় রানে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ভারত

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

আগামী রবিবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের খেলায় ভারত মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। তার আগেই ভারতের যুব ক্রিকেটাররা বড় জয় পেল সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে। ভারত ২৩৪ রানে জয় পেল আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে। আর এই খেলায় ভারতের কিশোর ক্রিকেটার বৈভব সূর্যবংশী ১৭১ রান করে শিরোনামে উঠে এল। ভারত প্রথমে খেলতে নেমে ৪৩৩ রান করে ৬ উইকেট হারিয়ে। তার জবাবে আরব আমিরশাহির সাত উইকেটে ১৯৯ রান করে হার স্বীকার করে নেয়। যুব এশিয়া কাপে টসে জিতে আরব আমিরশাহির অধিনায়ক ইয়ায়িন কিরণ রাই ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ভারত প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত ভূমিকা পালন করতে থাকে ক্রিকেটাররা। অধিনায়ক আয়ুষ মাত্রে ১১ বলে ৪ রান করে আউট হয়ে গেলেও, বৈভব সূর্যবংশী তার স্বভাবজাত খেলা খেলতে থাকে। সেই চেনা ফর্মে দেখা গেল বৈভবকে। প্রতিপক্ষ দলের বোলাররা বৈভবকে সেইভাবে কোনও ভয় দেখাতেই পারেনি। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে বৈভ যেভাবে ব্যাট চালিয়ে খেলেছে, তাতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, তার ব্যাট থেকে ভালো রান আসবে। তিন নম্বরে নামা অ্যারন জর্জের সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রায় ২০০ রান করার কৃতিত্ব দেখায়। তখনই বৈভবের দাপট দেখতে পাওয়া গিয়েছে।

বৈভব সূর্যবংশী শতরান করার পথে পাঁচটি চার ও ন’টি ছক্কা মারে। বৈভবের আগ্রাসী মেজাজের কাছে প্রতিপক্ষ দলের বোলাররা কোনও জায়গায় পায়নি। শেষ পর্যন্ত বৈভব ৯৫ বলে ১৭১ রান করে সবাইকে অবাক করে দেয়। ওই রান করার ফাঁকে বৈভবের ব্যাট থেকে এসেছে ৯টি চার ও ১৪টি ছক্কা। অ্যারন বেশ গুছিয়ে ব্যাট করেছে। সে ৭৩ বলে ৬৯ রান করে। ভারতের হয়ে ভাল রান করেছে বিহান মালহোত্রা ৫৫ বলে ৬৯ রান। শেষ দিকে দ্রুত রান তুলে অভিজ্ঞান কুন্ডু ১৭ বলে অপরাজিত ৩২ করে এবং কণিষ্ক চৌহান ১২ বলে ২৮ রান করে।

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার রেকর্ড ছিল আফগানিস্তানের দারউইশ রসুলির। তিনি ২০১৭ সালে এক ইনিংসে ১০টি ছয় মারেন। বৈভব তাঁর রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, যুব ক্রিকেটে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল হিলের দখলে। ২০০৮ সালে তিনি এক ইনিংসে ১২টি ছয় মারে। বৈভব সেই রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে। ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এক দিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল বৈভবের ১৭১। শীর্ষে ২০০২ সালে অম্বাতি রায়ডুর ১৭৭ রানের ইনিংস। তবে ভারতীয় দলের এই জয় আত্মবিশ্বাসে ভরপুর রয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, আগামী রবিবার ভারতকে অংশ নিতে হবে সবচেয়ে মর্যাদার লড়াইয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।