ভারত ও ইংল্যান্ড এখন একই পাল্লায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রথম টেস্ট ম্যাচে ভারত হারলেও দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে এজবাস্টনে অভাবনীয় জয় তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক শুভমন গিলরা। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের এই জয়কে ঐতিহাসিক বলা যেতেই পারে। বিশেষ করে অধিনায়ক শুভমন গিল, লোকেশ রাহুল, ঋষভ পন্থরা যেভাবে খেলেছেন, তার তারিফ করতেই হবে। আবার আকাশদীপ ও শার্দুল ঠাকুররা দুরন্ত বল করে ইংল্যান্ডকে কোণঠাসা করে দিয়েছেন। সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে দু’টি দলই একটি করে জয় তুলে নিয়েছে। তাই লর্ডসের মাঠে নামার আগে দুই দলের কাছেই চ্যালেঞ্জ বলা যায়। জেতার লক্ষ্যে দুই দলই ঝাঁপাবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। লর্ডসের ঐতিহাসিক মাঠে ভারতীয় দলে কমপক্ষে তিনজন পরিবর্তন হতে পারে বলে জানা গেছে। বাদ পড়ছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। সেই জায়গায় আবার দলে ফিরছেন ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বোলার যশপ্রীত বুমরা। আসলে এজবাস্টনে বুমরাকে খেলানো হয়নি, যাতে কোনওভাবেই তাঁর শরীরের উপরে বাড়তি চাপ না পড়ে। অধিনায়ক শুভমন গিল ম্যাচের শেষে বলে দিয়েছেন, তৃতীয় টেস্টে অবশ্যই বুমরা দলে আসছেন। এই নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। সেই কারণেই তৃতীয় টেস্টে দলে কোনওভাবেই প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের জায়গা হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয় টেস্টের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে কোনওভাবেই বাদের তালিকায় রাখা সম্ভব হবে না আকাশদীপকে। দুই ইনিংস মিলিয়ে আকাশদীপ ১০টি উইকেট তুলে নিয়েছেন।
তবে সেইভাবে ছন্দে না থাকায় আকাশদীপ প্রথম টেস্টে জায়গা পাননি। অধিনায়ক শুভমন বোলার হিসেবে আকাশদীপকে ব্যবহার করে সাফল্য পেয়েছেন। দলের তৃতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে নীতীশ রেড্ডিকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি দ্বিতীয় টেস্টে নীতীশ রেড্ডিকে বল করতে দেওয়া হয়নি। আর ব্যাট হাতে দুই ইনিংসে মাত্র ১ রান করেছেন। সেই কারণে লর্ডসের মাঠে নীতীশ রেড্ডিকে দেখতে পাওয়া যাবে না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। সেই জায়গায় কুলদীপ যাদবকে নিয়ে আসা হতে পারে বলে জানা গেছে। আর্শদীপ সিংয়ের কথাও ভাবা হচ্ছে।
কুলদীপ যাদবের নামটা পছন্দের তালিকায় রয়েছে। তার প্রধান কারণ হল বৈচিত্র্যময় লেগস্পিন করতে পারেন। তার ফলে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের চাপের মধ্যে রাখা সম্ভব হবে। অন্যদিকে বাঁহাতি পেসার আর্শদীপ সিং হতে পারেন এক্স ফ্যাক্টর। ব্যাটিং অর্ডার যদি বদলায়, সেক্ষেত্রে করুণ নায়ারের জায়গা নাও হতে পারে। নায়ারের জায়গায় আসতে পারেন প্রথম টেস্টে ব্যর্থ ব্যাটসম্যান সাই সুদর্শন। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট করুণ নায়ারের উপর আর আস্থা রাখতে পারছেন না। বিকল্প খেলোয়াড় হিসেবে বাংলার অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও ধ্রুব জুরেল থাকলেও তাঁদের খেলানো কোনওভবেই সম্ভব হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
শুধু ভারতীয় দলে পরিবর্তন হবে, তাই নয়। ইংল্যান্ড দলেও বেশকিছু পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দলের পেস বোলিংকে শক্তিশালী করার জন্য ইংল্যান্ড দলে আসতে পারেন আর্চার্। দ্বিতীয় টেস্টে তিনি থাকলেও প্রথম একাদশে তাঁর জায়গা হয়নি। সম্প্রতি চোট সারিয়ে মাঠে ফিরেছেন আর্চার। দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড দলে প্রথম একাদশে আসতে পারেন গাস অ্যাটকিনসন। তিনি শেষবার জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে মে মাসে খেলেছিলেন। আর্চার ও অ্যাটকিনসন ফিরলেও দুই পেসার মার্ক উড এবং ওলি স্টোন মাঠে ফিরতে পারেন। ইংল্যান্ড দল আবার জয়ে ফিরতে অবশ্যই নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।