ভারতের কাছে আবার ফলো অন ওয়েস্ট ইন্ডিজের

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

আবার কী আমেদাবাদের ছবিটা দেখতে পাওয়া যাবে দিল্লিতে। এমন একটা দৃশ্যপট তৈরি হতে চলেছে ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে। ভারতের বোলারদের মোকাবিলা করতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। রবিবার দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে ভারতের ৫ উইকেটে ৫১৮ রানে (ডি:) জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস শেষ করে ২৪৮ রানে। ক্যারিবিয়ানরা পিছিয়ে পড়েন ২৭০ রানে ভারত ফলো অন করতে বাধ্য হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে শুরু করলে খুব তাড়াতাড়ি দুটি উইকেট হারিয়ে ফেলে। ওই অবস্থাকে ঘুরে দাঁড়াতে জে ক্যাম্পবেল ও শাই হোপস শক্ত হাতে ব্যাট করতে থাকেন। যাতে ইনিংস পরাজয় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। দিনের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩ উইকেটে ১৭৩ রান করেছে। ক্যাম্পবেল শতরানের দিকে এগিয়ে চলেছেন। ৮৭ রানে নট আউট রয়েছেন তিনি। সঙ্গী শাই হোপস উইকেটে রয়েছেন ৬৬ রানে। ভারত এখনও ৯৭ রানে এগিয়ে। এখন দেখবার বিষয় চতুর্থ দিনে সকালে উইকেটে ভারতের স্পিনাররা দুরন্ত ভূমিকা নিতে পারেন কীনা! তবে দ্বিতীয় দিনে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন সাই সুদর্শন। তিনি তৃতীয় দিনে মাঠেই নামতে পারেননি।

দ্বিতীয় দিনের ৪ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইমলাচ ও সাই হোপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিনের প্রথম উইকেটটি পড়ে ১৫৬ রানের মাথায়। আউট হন শাই হোপ। তিনি কুলদীপ যাদবের বলে সরাসরি আউট হন। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। ষষ্ঠ উইকেটে খেলতে আসেন উইকেটরক্ষক ইমলাচ। তিনি ২১ রান করে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান। এই উইকেটটিও দখল করেন কুলদীপ যাদব। কুলদীপের আক্রমণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ধস নামে। তাসের ঘরের মতন একের পর এক উইকেটের পতন ঘটে। এদিকে কুলদীপ আর অন্যদিকে রবীন্দ্র জাদেজা কামাল করে দিতে থাকেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সপ্তম উইকেটের পতন ঘটে ১৭৪ রানে। আউট হন জে. গ্রেভেজ। তাঁর ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১৭ রান। এবারও কুলদীপের কাছে পরাস্ত হন গ্রেভেজ। পরের উইকেটটি তুলে নেন মহম্মদ সিরাজ। ওয়ারিক্যান মাত্র ১ রান করে প্যাভেলিয়নে চলে যান। নবম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২২১ রানে। পিয়েরে ২৩ রানে আউট হয়ে যান। এই উইকেটটি পান যশপ্রীত বুমরা। তবে দিল্লি টেস্টে বুমরা সেইভাবে নজর কাড়তে পারেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৪৮ রানে। ভারতের কুলদীপ যাদব তাঁর হাতের ঘুর্নিতে ৫টি উইকেট তুলে নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন। কুলদীপ ২৬৫ ওভারে ৮২ রান দিয়ে ৫টি উইকেট পেয়েছেন। আর রবীন্দ্র জাদেজা ১৯ ওভারে ৪৬ রানে ৩টি উইকেট পান। বুমরার পাশে একটা উইকেট পান মহম্মদ সিরাজ।

প্রথম টেস্টের মতন ভারত ফলো অন করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ২৭০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ক্যারিবিয়নরা। ইনিংস শুরু করতে আসেন ক্যাম্পবেল ও চন্দ্রপল। দু-জনে বেশ গুছিয়ে খেলবার চেষ্টা করেন। চন্দ্রপল ১০ রান করে আউট হন মহম্মদ সিরাজের বলে শুভমন গিলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। তখন স্কোরবোর্ডে ১৭ রান। দ্বিতীয় উইকেটে ক্যাম্পবেলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন আথানেজ। ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে আথানেজ সরাসরি বোল্ড আউট হন। তৃতীয় উইকেটে ক্যাম্পবেলের সঙ্গে খেলতে আসেন শাই হোপ। হোপ আর ক্যাম্পবেল বেশ স্বছন্দে খেলতে থাকেন। ইনিংস হার থেকে বাঁচাতে বেশ দেখে শুনে ভারতের বোলারদের মোকাবিলা করতে থাকেন। প্রথম ইনিংসে কুলদীপ ও রবীন্দ্র জাদেজা যেভাবে সফল হয়েছিলেন, কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে সেইভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি। ক্যাম্পবেল বেশ সতর্ক থেকে ভারতের বোলারদের মোকাবিলা করতে থাকেন। সঙ্গে শাই হোপ এমন ভূমিকা নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস থেকে জেতাতে চেষ্টা করতে থাকেন। ক্যাম্পবেলের লক্ষ্য থাকবে শতরান করতে। দিনের শেষে ক্যাম্পবেল ৮৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন। আর হোপস ৬৬ রানে খেলছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২ উইকেটে ১৭৩ রান করে। ৯৭ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিনে খেলা শুরু করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন দেখবার বিষয় ভারতের বোলররা খেলার প্রথম পর্বেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধস নামাতে পারেন কীনা।