ডার্বি নিয়ে পেশাদারিত্বের অভাব আইএফএ-র

প্রতীকী চিত্র

কী অবস্থা! অবাক হতে হয় আইএফএ-র কর্মধারা দেখে। হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন। ফিক্চার অনুযায়ী আগামী ১৯ জুলাই কলকাতা ফুটবল লিগের ডার্বি ম্যাচ। এই ডার্বি ম্যাচ কোথায় হবে তা নিয়ে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। আইএফএ-র দূরদর্শিতার অভাব তা যেমন প্রকাশ্যে এসেছে, তেমনি পেশাদারিত্ব বলতে যা বোঝায় তার ছিটে ফোঁটাও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই অর্থে ডার্বি ম্যাচ নিয়ে কোনও তৎপরতা চোখে পড়ছে না। অনেকটা নাকে তেল দিয়ে ঘুমানো ছাড়া অন্য ভাবনা নেই কর্মকর্তাদের। বিশেষ সুত্রে জানা গিয়েছে দুই প্রধান মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস ও ইস্টবেঙ্গলকে ডার্বি ম্যাচের ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি।

শুধু চমকে দিতে হোটেলে হোটেলে অন্য বিষয়ে চমক দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শীর্ষ কর্মকর্তারা। কর্মকর্তারা কী ভুলে গেছেন কলকাতা ফুটবল লিগে ডার্বি ম্যাচের ঐতিহ্য। এশিয় মহাদেশে সবচেয়ে বেশি উন্মাদনা দেখতে পাওয়া যায় কলকাতা ফুটবল লিগের ডার্বি ম্যাচকে কেন্দ্র করে। সমর্থকরা খেলার বেশ কয়েকদিন আগে থেকে উৎসাহের পারদ চড়াতে থাকেন। সেই সব দৃশ্য এখন অমাবস্যার চাঁদ হয়ে গিয়েছে। কলকাতা ফুটবল লিগকে এখন তলানিতে নিয়ে গিয়েছে আইএফএ। দুই একজন কর্মকর্তার অঙ্গুলি হেলনে আইএফএ চলছে। কোনও হেলদোল নেই কলকাতা ফুটবলের গরিমাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে। এইতো কিছুদিন আগে বলা হতো আইএফএ একটা পরিবার। তার কোনও হদিশ খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিছু জিজ্ঞাসা করলে কর্মকর্তারা একে ওকে দেখিয়ে সরে পড়েন।

আচ্ছা বলতে পারেন দুই প্রধানের সদস্য ও সমর্থকরা কবে থেকে টিকিট কিনতে পারবেন ও কোথায় পাওয়া যাবে? তারও কোনও উত্তর নেই। টিকিটের দাম কত হবে তা জানা নেই। সবই ধোঁয়াশার মধ্যে চলছে। আর এই ডার্বি ম্যাচ থেকে আইএফএ-র একটা বড় আয়ের উৎস। এ ব্যাপারে নির্বাক রয়েছেন আইএফএ-র কর্মকর্তারা। তাহলে কী সবাই গোপাল ভাঁড় হয়ে চেয়ারে বসে আছেন? অনেকে আবার বলতে পারেন সবুজ মেরুন ও লাল হলুদ ব্রিগেডে তারকা ফুটবলার নেই। তাহলে কাদের খেলা দেখতে আসবেন। তাহলে এই কথার মধ্যে দিয়ে তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলারদের ছোট করা হচ্ছে। এই ভাবনা মেনে নেওয়া যায় না। তাহলে সন্তোষ ট্রফি জয়ী এবারের সফল ফুটবলারদের তারকা বলে মেনে নিতে পারছেন না!


এই তো মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের তত্ত্বাবধানে ডার্বি ম্যাচে কত টাকা এসেছে, তা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করবেন। মোহনবাগানের ঘরে এসেছিল ১ কোটি ৬৭ হাজার টাকা। ভাবুন দেখি। যদি পরিকল্পনামাফিক কাজ করা যায় তাহলে ডার্বি ম্যাচ থেকে বড় অঙ্কের টাকা আইএফএ-র ভাণ্ডারে আসতো! সেদিকে কোনও চিন্তা ভাবনা নেই। আইএফএ-র কর্মকর্তারা একটু চোখ খুলে হাঁটুন।