নিজস্ব প্রতিনিধি— চলতি বছরের আইএফএ শিল্ড জেলার মাঠে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে। বেশ কয়েক বছর ঐতিহ্যশালী আইএফএ শিল্ড আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণেই শিল্ডের গুরুত্ব হারিয়ে গিয়েছে। একটা সময় এই শিল্ডের খেলাকে ঘিরে দারুণ উত্তেজনা দেখা দিত কলকাতা ময়দানে। এখনও সবার মনে আছে, ইরানের প্যাস ক্লাবকে হারিয়ে ইস্টবেঙ্গল সত্তর দশকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আইএফএ শিল্ডে। সেই সময় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অধিনায়ক ছিলেন শান্ত মিত্র। শিল্ডের খেলা শেষ হওয়ার পরেই ইডেন উদ্যানে সমর্থকদের জোয়ারে সেদিন সব ফুটবলাররা হারিয়ে গিয়েছিলেন।
এমনকি শোনা গেছে, অধিনায়ক শান্ত মিত্রের হাত থেকে কখন যে শিল্ডটি সমর্থকদের হাতে চলে গিয়েছিল, তা কেউই জানতে পারেননি। শুধু তাই নয়, সেদিন ইডেন উদ্যান থেকে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে শিল্ড নিয়ে খেলোয়াড়রা যখন পৌঁছান, তখন দেখা যায়, প্রায় দু’ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে। ভারতবর্ষের সেরা ফুটবল প্রতিযোগিতা বলতেই অন্যতম ছিল আইএফএ শিল্ড। শুধু তাই নয়, বিদেশি দলগুলি খেলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করত। সেই শিল্ডের ঐতিহ্য ও গরিমা এখন আর নেই। সবই হারিয়ে গেছে।
পরবর্তী সময়ে আইএফএ’র প্রশাসনে কর্মকর্তারা যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সেইভাবে শিল্ডের খেলাকে গুরুত্ব দেননি। ধীরে ধীরে তা অন্ধকারে হারিয়ে গিয়েছে। তাই বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারে আইএফএ শিল্ডকে আবার ফিরিয়ে আনা হবে।
ইতিমধ্যেই স্পনসরের সঙ্গে আইএফএ’র কর্মকর্তারা যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু তাঁরা সেইভাবে আগামী এপ্রিল মাসে শিল্ড সংগঠিত করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারবেন না। সেই কারণেই মে মাসে শিল্ডের খেলা হবে।
আবার জানা গেছে, সিনিয়র খেলোয়াড়দের নিয়ে কোনওভাবেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা সম্ভব হবে না। তাই আইএসএলের রিজার্ভ বেঞ্চের যে সমস্ত খেলোয়াড়রা রয়েছেন, তাঁদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে জেলার মাঠে। এমনকি কোনও বিদেশি দলকেও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য। সেক্ষেত্রে মালদহ, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে এই খেলা অনুষ্ঠিত হবে। সারা ভারত ফুটবল ফেডারেশন এপ্রিল মাসে সময় দিয়েছিল শিল্ডের খেলা করানোর জন্য। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে জেলার মাঠে আইএফএ শিল্ডের খেলা হলেও ফাইনাল খেলা কলকাতা ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। আইএফএ শিল্ড যদি আবার ফিরে আসে, তাহলে আইএফএ’র মুখরক্ষা হবে।