ডার্বি ম্যাচের আগে কালীঘাট এমএস’কে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী সবুজ-মেরুন ব্রিগেড

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ডার্বি ম্যাচের আগে নিজেদের আত্মবিশ্বাস বেশ কিছুটা বাড়িয়ে নিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। বুধবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে কালীঘাট মিলন সংঘকে ২-১ ব্যবধানে সহজেই হারিয়ে দিল ডেগি কার্ডোজোর ছেলেরা। এই জয়ের ফলে শনিবারসরীয় ডার্বির আগে নিজেদের হারানো মনোবল অনেকটাই ফিরে পেল সবুজ-মেরুন শিবির।

এদিনের ম্যাচে দুরন্ত ফুটবল উপহার দিল দোরজি তামাং – কিয়ান নাসিরিরা। ম্যাচের শুরুতেই সবুজ মেরুন শিবিরকে এগিয়ে দেন পাসাং দোরজি তামাং। তারপর থেকে নিজেদের মধ্যে ক্রমাগত প্লেসিং ফুটবল খেলতে থাকেন তাঁরা। তবে খেলার গতির বিরুদ্ধে গিয়ে ম্যাচের ১৮ মিনিটে কালীঘাটের হয়ে সমতা ফেরান সুরজিৎ হালদার। তাঁর দূরপাল্লার শট যখন জালে জড়িয়ে যায় তখন কার্যত দর্শকের ভূমিকা পালন করলেন সবুজ মেরুন গোলরক্ষক দীপপ্রভাত। এই গোলের পরেই মরিয়া লড়াই শুরু করে তাঁরা। এইসময় বেশকিছু সহজ সুযোগ নষ্ট করে কালীঘাট । নাহলে, তখনই এগিয়ে যেতে পারত তাঁরা। কালীঘাটের নাসিরুদ্দিন মোল্লা বেশ নজর কেড়েছেন এই ম্যাচে। এরপর প্রথমার্ধ ১-১ অবস্থায় শেষ হলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ম্যাচে রাশ নিজেদের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করতে শুরু করে মোহনবাগান । তখন বেশকিছু সুযোগ পেলেও তা থেকে কোনওভাবেই গোল আসছিল না।

অবশেষে ম্যাচের ৬৪ মিনিটে মোহনবাগানের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন করণ রাই । এরপরেও বেশকিছু সুযোগ পেয়েছিল দুই দলের কাছে । কিন্তু আর ব্যবধান বাড়েনি। শেষপর্যন্ত, ২-১ ব্যবধানে জিতেই মাঠ ছাড়ে মোহনবাগান। এগিয়ে যাওয়ার পরেও বেশ কয়েকবার গোলমুখে পৌঁছে গিয়েও সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা গোল করতে পারেননি। এদিনের এই জয়ের ফলে ডার্বি ম্যাচের আগে কিছুটা হলেও মানসিকভাবে এগিয়ে থাকল তারা। এখন কোচের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গলকে কীভাবে হারানো যায়, তার রূপরেখা তৈরি করা।