ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে গৃহযুদ্ধ বেঁধে গেল। আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের কাছে হেরে যাওয়ার পরেই কোচ অস্কার ব্রুজোর সঙ্গে গোলরক্ষক কোচ সন্দীপ নন্দীর সঙ্গে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হয়। পদে পদে স্পেনীয় কোচ সন্দীপকে নানাভাবে অপমান করছিলেন। তবুও সন্দীপ দলের স্বার্থে কোনও প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেননি। তবে সুপার কাপ ফুটবল খেলতে গিয়ে দুই কোচের মধ্যে চরম অশান্তি দেখতে পাওয়া যায়। অপমানিত হয়ে গোলরক্ষক কোচ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সন্দীপ নন্দী। এমন কি গোয়া থেকে তিনি কলকাতায় ফিরে আসার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন।
এই দুই কোচের গণ্ডগোলের সূত্রপাত শিল্ডের ফাইনাল খেলার দিন। টাইব্রেকারের আগে হঠাৎই পরিবর্ত গোলরক্ষক হিসেবে প্রভসুখন গিলের জায়গায় দেবজিৎ মজুমদারকে নামিয়ে দেন কোচ। আত্মবিশ্বাসী গিলকে কেন বসিয়ে দেওয়া হল, এ বোপারে কোনও কথা বলতে চাননি। দেবজিৎ টাইব্রেকারে একটাও শট বাঁচাতে পারেননি। তবে কোচ অস্কার বলেন, দলের এক সাপোর্ট স্টাফের (সন্দীপ নন্দী) কথায় গোলরক্ষককে পরিবর্তন করতে বাধ্য হই। গোয়ার বিমানবন্দরে গোলরক্ষক কোচ সন্দীপ নাকি কোচ অস্কারের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন। কোচ কোনও কথাই শুনতে চাননি। তার পরে তিনি কঠোরভাবে সন্দীপকে সমালোচনা করে বলেন, এই কাজে সন্দীপ কোনও যোগ্য ব্যক্তি নয়।
সবার সামনে এইভাবে সন্দীপ নন্দীকে কোচ অস্কার অপমান করায় তিনি অবাক হয়ে যান। নীরবতা পালন করেন। কী করবেন তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। অপমানিত হয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে গোলরক্ষক কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা প্রকাশ্যে আনেন। জানা গিয়েছে, কলকাতায় ফিরে আসার জন্য বিমান ধরার চেষ্টা করছেন।