ফেডারেশনের কর্তার বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ আনলেন মহিলা ফুটবলাররা

দিল্লি— সারা ভারত ফুটবল ফেডরেশনে শুধুই গণ্ডগোল আর গণ্ডগোল৷ কিছুদিন আগে এক পুরুষকর্মীর বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন এক মহিলা কর্মী৷ আর এবারে ফেডারেশনের কর্তার বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ আনলেন দুই মহিলা ফুটবলার৷ আবার ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনা হয়েছে৷ ইতিমধ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে এশিয়া ফুটবল কনফেডারেশনের পক্ষ থেকে জবাব চাওয়া হয়েছে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে কর্মকর্তারা কীভাবে যুক্ত রয়েছেন৷ শারীরিক হেনস্থার কথা তুলেছেন হিমাচল প্রদেশের ক্লাব খাড় এফসি’র দুই ফুটবলার৷ তাঁদের অভিযোগ, ফেডারেশনের কর্মসমিতির অন্যতম সদস্য দীপক শর্মার বিরুদ্ধে৷

ফুটবলাররা অভিযোগ এনেছেন, গোয়ায় ইন্ডিয়ান উইমেন্স ফুটবল লিগ চলাকালীন হোটেলের ঘরে গিয়ে দীপক শর্মা তাঁদের নিগ্রহ করেছেন৷ গত শুক্রবার ফেডারেশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন এই দুই ফুটবলার৷ এদিকে এই দীপক শর্মাই হিমাচল প্রদেশ ফুটবল সংস্থার সম্পাদক এবং ফেডারেশনের কম্পিটিশন কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান৷ ফুটবলারদের অভিযোগ, ওই ঘটনার সময় দীপক শর্মা মত্ত অবস্থায় ছিলেন৷ হিমাচল প্রদেশ থেকে গোয়ায় আসার সময় ফুটবলারদের সামনেই তিনি মদ্যপান করছিলেন৷

অভিযোগকারীদের মধ্যে একজন বলেছেন, সেদিন আমার পায়ে চোট ছিল, ঘরে ডিম এনেছিলেন৷ রাত ১১টা নাগাদ রান্নাঘরে গিয়ে রান্না করছিলাম৷ তখন দীপকবাবু আমাদের নিজের ঘরে ডাকেন৷ আমার সতীর্থ ফুটবলার তাঁর ঘরে যায় এবং ওকে জিজ্ঞাসা করা হয় আমরা কী করছিলাম৷ তখন তার উত্তরে সে বলেছিল, ডিম রান্না করছি৷ এই কথা শোনার পরে তিনি বকাবকি শুরু করেন৷ এবং আমাকে ডেকে পাঠান৷ তিনি বলেন, কেন ডিম রান্না করছিলাম?


মহিলা ফুটবলার আরও অভিযোগ করেন, আমি বলেছিলাম, ঘরে খাবার শেষ হয়ে গিয়েছে, তাই রান্না করছি৷ উনি তখন ওই রান্না ছুঁড়ে ফেলে দিতে নির্দেশ দেন৷ এবং আমি কাঁদতে শুরু করি৷ নিজের ঘরে যাওয়ার মুখে তিনি আমাদের ঘরে আসেন৷ কোনও অনুমতি ছাড়াই তিনি ঘরে ঢুকে পড়েন৷ তারপরেই শারীরিক নিগ্রহ করেন তিনি৷ পরে আমাদের বলা হয়, কোনওরকম অভিযোগ করলে অন্যরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ এমনকি অভিযোগ তুলে নিতে বলা হয়৷ শনিবার বিকেলে এই অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ সম্পূর্ণ ব্যাপারটিকে সমীক্ষা করার জন্য৷ পাশাপাশি দীপক শর্মার কোনও ভাবেই ফেডারেশনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না৷ যতদিন না ব্যাপারটি ফয়সালা না হচ্ছে, ততদিন এই বার্তা বহাল থাকবে৷