এভারটন ও লিভারপুলের খেলার মাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে এমন উত্তেজনা তৈরি হল, তা সামাল দিতে রেফারি লাল কার্ড দেখানো ছাড়া কোনও পথ ছিল না। লিভারপুল এগিয়ে ছিল ২-১ গোলের ব্যবধানে এভারটনের বিরুদ্ধে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এভারটন গোল করে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনে ২-২ গোলে। তখন আরও উত্তেজনা চরম জায়গায় পৌঁছে যায়। তখনই দেখা গেল, রেফারি দু’দলের চারজনকে লাল কার্ড দেখিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এই ম্যাচটা ডিসেম্বর মাসে হওয়ার কথা ছিল।
লিভারপুলের তিনজন কার্টিস জোন্স, কোচ আর্নে স্লট ও সহকারী কোচ সিফকে হালশফ লালকার্ড দেখেন। এভারটনের পক্ষে কার্ড দেখেন আবদুলাই দুকুরে। তবে দু-দলের খেলা বেশ জমে উঠেছিল। আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণ থেকে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি। খেলা শুরুর ১১ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করে এভারটনকে এগিয়ে দেন বেতো। এগিয়ে থাকার সুবিধে বেশিক্ষণ নিতে পারেনি এভারটন। ১৬ মিনিটের মাথায় গোলশোধ করে দেয় লিভারপুল। সালাহ-র পাশ থেকে গোলটি করে যান আর্জেন্টাইন তারকা ম্যাক অ্যালিস্টার। সালাহ এই গোল করানোর পাশ দিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গড়ে ফেললেন একটা নতুন রেকর্ড। ১৯৯৩-৯৪ সালে অ্যান্ডি কোল ২১টা গোল করানোর অবদান রেখে রেকর্ড গড়েছিলেন। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন মহম্মদ সালাহ। তিনি ২২তম গোল করা ও করানোর কৃতিত্ব দেখালেন। যার মধ্যে ১৩টা গোল নিজে করেছেন। বাকি ৯টা গোল করতে সতীর্থদের সাহায্য করে গিয়েছেন। প্রথমার্ধে খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে। তবে বিরতির পর এভারটন প্রাধান্য নিয়ে খেলতে শুরু করে। বেশ কয়েকবার তারা লিভারপুলের সীমানায় ঢুকে গোল করার কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। দুর্ভাগ্য কোনও গোল করতে পারেনি। অথচ স্রোতের উল্টোদিকে সাঁতরে গোলটি করে যায় লিভারপুল।
৭৩ মিনিটে সালাহ দুরন্ত শটে গোল করে দলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। যখন সকলে ধরে নিয়েছেন লিভারপুলের জয় নিশ্চিত, ঠিক সেই সময় ঘটে অঘটন। এভারটনের তারকোফস্কি গোল দিয়ে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনেন। ম্যাচ ড্র করেও লিভারপুল ২৪ ম্যাচ খেলে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকল। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৫০। লিভারপুলের ফুটবলাররা চেষ্টা করেছিলেন এই ম্যাচটা জিতে খেতাব জয়ের লক্ষ্যে ভালো জায়গায় পৌঁছতে। কিন্তু সম্ভব হল না। তবুও লিগ টেবলের শীর্ষে থেকে গেল লিভারপুল।