সামির জন্যেই সবার মুখে আমার কথা : চেতন শর্মা

মহম্মদ সামি (Photo: Surjeet Yadav/IANS)

বিশ্বকাপ ইতিহাসে ভারতের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন চেতন শর্মা। সেই চেতন শৰ্মাই এবারে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বােলার মহম্মদ সামি শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক করায় দারুণভাবে উল্লসিত।

এটা বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতীয় বােলার হিসেবে তিনি দ্বিতীয় বােলার। ১৯৮৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরপর তিনটি বলে চেতন শর্মা তিনটি উইকেট দখল করে বিরল কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। তখন থেকেই বিশ্বকাপে চেতন শর্মার আলাদা একটা কদর তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকেই বলতে হবে এবারে সামির কৃতিত্বকেই কোনওভাবেই অন্যভাবে দেখা যাবে না।

চেতন শর্মার পাশে বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরাও উচ্ছ্বসিত। তার প্রধান কারণ বাংলার হয়ে তিনি রঞ্জি ট্রফিতে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই বলতে হবে এই গর্ব বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদেরও।


চেতন শর্মা ৩২ বছর আগে যে নজির গড়েছিলেন, সেই নজিরকে স্পর্শ করলেন মহম্মদ সামি। চেতন শর্মা বলেছেন, অবশ্যই ভারতীয় খেলােয়াড় হিসেবে গর্ব অনুভব করি যখন কোনও খেলােয়াড় এমন কোনও অঘটন ঘটিয়ে কৃতিত্ব দেখাতে পারেন আর এই কৃতিত্বের দাবিদার মহম্মদ সামি। আজ মহম্মদ সামির জন্যই নতুন করে আমার নামটা সবার মুখে মুখে ঘুরছে। বর্তমান প্রজন্মের অনেক খেলােয়াড়রা আমার নাম জানতেনই না। তাই ভালাে লাগছে আমার নামটা উচ্চারিত হচ্ছে। প্রথম যে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করেছিলেন সেই বােলারের নাম স্মৃতিতে চলে গিয়েছিল।

চেতন শর্মা আরও বলেন, সেদিন হয়তাে আমি বােলার হিসেবে নজির গড়েছিলাম। তাতে নিশ্চয়ই খুশি হয়েছিলাম। পাশাপাশি বলতে হয় সেমি ফাইনালের জন্য আমরা যখন প্লেনে যাওয়ার জন্যে প্রস্তুত ছিলাম সেদিন এয়ারপাের্টে হাজার ক্রিকেটপ্রেমীরা যেভাবে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন তা আজও মনে পড়ে।

হরিয়ানার ছেলে চেতন শর্মা হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্বে সেদিন রাজ্যের ক্রিকেট প্রেমীরা যে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছিলেন তা আজও মনে করিয়ে দেয়। ঠিক তেমনি মহম্মদ সামি হ্যাটট্রিক করার পরে উত্তর প্রদেশের তার বাড়ির এলাকায় সমস্ত মানুষ আনন্দে মেতে উঠেছিলেন।

সেদিন মহম্মদ সামি পরপর তিনটে বলে যে তিনজন আউট হন তারমধ্যে প্রথম দু’জন বােল্ড হয়েছিলেন। আর অন্যজন ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। আর চেতন শর্মা তিনজনকেই বােল্ড আউট করে দিয়েছিলেন।

আবার ১৯৮৬ সালে সারজায় ভারতের সামনে মুখােমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। সেই ম্যাচে চেতন শর্মার শেষ বলে ছক্কা মেরে পাকিস্তানকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন জাভেদ মিয়াদাদ। সেই আক্ষেপের কথা এখনও চেতন শর্মাকে ভাবায়। তাই আবার বলতে হয় ক্রিকেট জীবনে সুখ দুঃখ নিয়ে ইতিহাস তৈরি হয়। তবুও বলবাে ভাল লাগছে সামি হ্যাটট্রিক হওয়ার পরে সবাই আমার কথা বলছে।