অবসরের এক যুগ কেটে গেলেও, মহারাজা মহারাজার চালেই চলছেন

সৌরভ গাঙ্গুলি (File Photo: IANS)

দাপটা যেমন আগেও ছিল, এখনও রয়েছে। মহারাজা মহারাজার চালেই চলেছেন। লর্ডসের মাঠে অভিষেক টেস্টে শতরান, ভারতীয় ক্রিকেটেকে ম্যাচ গড়াপেটার কালােছায়া থেকে পুনরুত্থান ঘটিয়ে অধিনায়ক হিসাবে দেশের ক্রিকেটকে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তরুণ ক্রিকেটারদের তুলে আনার কাজটাও করেছিলেন। আর আজ ভারতীয় ক্রিকেটের মসনদে বসে রয়েছেন।

মহারাজা আগেও যেমন ছিলেন এখনও সেরকমই রয়েছেন, এখনও সেরকমই রয়ে গেছে। তিনি আর কেউ নন আমাদের সকলের প্রিয় সৌরভ গাঙ্গুলি। দেখতে দেখতে দশ বছর কেটে গেল, ১০ নভেম্বর ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। এক যুগ পার হয়ে গেল। অবশ্য এর মধ্যে নানান ওঠা পড়া লেগেই ছিল। অনেকেই বলাবলি করেছিলেন একটা সময় সৌরভ গাঙ্গুলি ভারতীয় দলের কোচ হিসাবে যােগ্য প্রার্থী। কিন্তু, সৌরভ দলের দায়িত্ব না নিলেও, গােটা ভারতীয় ক্রিকেট বাের্ডের দায়িত্বটা নিজের হাতের মুঠোয় করে নিয়েছেন।

সেই দিনটার কথা আজও প্রতিটা বাঙালির হৃদয়ে তরতাজা হয়ে রয়েছে। দেশের মাটিতে নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টের শেষ দিনে শেষ বেলায় সৌরভের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধােনি। বিদায় বেলায় ভাজ্জি, লক্ষণের কাঁধে চেপে মাঠ ছেড়েছিলেন সৌরভ। ২০০৩ সালে যে দল তৈরি করেছিলেন সেই দল নিয়ে ফাইনালে পৌছেও বিশ্বকাপের খেতাব জয় করতে পারেননি।


কিন্তু, ধােনিকে এমন একটা দল উপহার দিয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে সেই দলের খেলােয়াড়দের হাত ধরে ধােনি আঠাশ বছর বাদে দেশকে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের খেতাব উপহার দিতে পেরেছিলেন। আর ধােনির উঠে আসার পিছনেও দাদা’র হাত কতটা রয়েছে সেটা আলাদা করে কাউকে বলে দিতে হবে না। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও, আইপিএলে খেলতে দেখা গিয়েছিল সৌরভকে।

কিন্তু, ২০১৪ সালে পাকাপাকিভাবে ব্যাট, গ্লাভস ও প্যাড তুলে রেখেছিলেন সারাজীবনের জন্য। তারপর প্রথমে সিএবির সভাপতি সেখান থেকে এখন সােজা বিসিসিআইয়ের সভাপতির মসনদে। ২০১৪ সালে ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে অভিষেক হয়েছিলেন সৌরভের। সিএবির যুগ্ম-সচিব হন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। ২০১৫ সাল থেকে তিনি ছিলেন সিএবির সাপতি। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে সৌরভ বাের্ড সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

আপাতত তিনি দায়িত্ব নিয়ে সেই কাজটা করে চলেছেন। করােনাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মরুশহরে ভালােভাবে ত্রয়ােদশতম আইপিএলের সংস্করণও করে ফেললেন। সেইসঙ্গে বাদ দেননি মেয়েদের টি-টোয়েন্টি লিগের খেলাও। এককথায় বলতে গেলে, দাদাকে আমাকে ভুলিনি আর তাকে ভুলতেও পারব না। তিনি সারাজীবন সকলের মনের মধ্যে একটা জায়গা জুড়ে রয়ে গেছেন আর সেখানেই থাকবেন।