দ্বিতীয়বার ঘরের মাঠে হাঙ্গেরির কাছে লজ্জার হার ইংল্যান্ডের

লজ্জায় মুখ লুকাচ্ছেন প্রিন্স হ্যারির দল…৯৪ বছরের পুরনো স্মৃতি আবারো ফিরে এলো ইংল্যান্ড ফুটবলে। নেশনস লিগের খেলায় নিজেদের ঘরের মাঠে হাঙ্গেরির কাছে ৪-০ গোলে হেরে গেল ইংল্যান্ড।

এর আগে ঘরের মাঠে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ১৯৫৩ সালে হাঙ্গেরির কাছে ৬-৩ গোলে পরাজিত হতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে।

আবারো ৬৯ বছর পরে নিজেদের ঘরের মাঠে হাঙ্গেরির কাছে লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হতে হল ইংল্যান্ডকে। এই নিয়ে দুবার।


বলে রাখা ভালো, ১৯২৮ সালে প্রথমবার স্কটল্যান্ড এর কাছে (৫-১) গোলে হারাতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। সেটাই ছিল প্রথমবার ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের সবথেকে লজ্জাজনক হার। সেই দৃশ্য আবার ফিরে এলো ইংল্যান্ড ফুটবলে ৯৪ বছর বাদে।

প্রথমবার স্কটল্যান্ড এর কাছে হারলেও এই নিয়ে টানা দুবার ঘরের মাঠে হাঙ্গেরির কাছে মাথানত করতে হলো ইংল্যান্ড ফুটবল দলকে।

যদিও সেটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার কিন্তু সাউথ গেটের দলকে টেক্কা দিয়ে নেশনস লিগের খেলায় হাঙ্গেরির ফুটবলার রা যেভাবে নিজেদের সেরা খেলা মেলে ধরল সেখানে ঘরের ছেলেরা পুরোপুরি চুপসে গেল।

যদিও সাউথ গেট হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে খেলায় ৯ জন ফুটবলার কে পরিবর্তন করে প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন।

এই পরিকল্পনাটা যে তার পুরোপুরি ভুল ছিল এবং তার অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এবং হাঙ্গেরির মতো দলকে ছোট করে দেখার শাস্তি তিনি ম্যাচের শেষে পেয়ে গেলেন।

এটা যে তার কাছে একটা বড় ধাক্কা এবং বড় শিক্ষা সেটা তিনি নিজের মুখে স্বীকার না করলেও মনে মনে যে বুঝতে পারছেন সেটা পরিষ্কার বলে দেওয়া যায়।

দল পরিবর্তন করে সাউথ গেট চেয়ে ছিলেন ঘরের মাঠে হাঙ্গেরি কে উড়িয়ে দেবেন।

কিন্তু হাঙ্গেরি যে অন্য খেলায় মেতে উঠবে এবং সেটা সামাল দিতে ইংল্যান্ড ফুটবলারদের হিমশিম খেতে হবে সেটা কেউ আশা করেনি এবং স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি।

১৬ মিনিটে সালির করা গোল থাকে হাঙ্গেরি খেলায় এগিয়ে যায়। এরপর প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয় নি।

ক্রমাগত চাপ বাড়ছিল ইংল্যান্ড ফুটবলারদের উপর তবে বিরতির পর ঘরের ছেলেরা আবারো খেলায় কাম ব্যাক করবে সেটা সমর্থক রা আশা করেছিলেন।

কিন্তু ইংলিশ ফুটবলাররা সেই কাজের কাজটা করতে পারল না। ক্রমশ চাপের মধ্যে পড়ে তারা যেন নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটাই হারিয়ে ফেলেছিল।

সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সালি ৭০ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করে ফেলেন। এর ১০ মিনিট পর নাগি গোল করে হাঙ্গেরি কে তিন গোলে এগিয়ে দেন (৩-০)।

খেলা শেষ হওয়ার দশ মিনিটে চাপ সামলাতে না পেরে দুবার হলুদ কার্ড দেখে ৮২ মিনিটে ইংল্যান্ড ফুটবলার স্টোন মাঠ ছাড়েন।

দশজনে খেলা ইংল্যান্ড ফুটবল দল আরো বেশি চাপের মধ্যে পড়ে যায় সেই সুযোগটা কাজে লাগায় হাঙ্গেরি। ৮৯ মিনিটে গাজদাগ দলের চতুর্থ গোলটি করে দিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে দেন।

এই জয়ের ফলে হাঙ্গেরি এই গ্রুপে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকলো। ঘরের মাঠে লজ্জার হারে এই গ্রুপে তলানিতে পড়ে রইল ইংল্যান্ড।