আজ মাঠে নামছে ইস্টবেঙ্গল, মহমেডান আবার জয়ের পথে

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

কলকাতা ফুটবল লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনের খেলায় মহমেডান স্পোর্টিং আবার জয়ের মুখ দেখল। বৃহস্পতিবার বারাকপুর স্টেডিয়ামে সাদা-কালো শিবির মুখোমুখি হয়েছিল এরিয়ান ক্লাবের বিরুদ্ধে। খেলার শুরু থেকেই দু’দলের মধ্যে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে পাওয়া যায়। মহমেডান স্পোর্টিংয়ের আক্রমণ বেশি থাকলেও খেলার প্রথমার্ধে সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেনি। পাল্টা আক্রমণে এরিয়ানও গোলের মুখ খুলতে পারেনি।

তবে দ্বিতীয় পর্বে মহমেডান স্পোর্টিং ছক পরিবর্তন করে এরিয়ান ক্লাবের রক্ষণভাগে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। খেলার ৬৪ মিনিটের মাথায় সজল বাগ গোল করে মহমেডান স্পোর্টিংকে এগিয়ে রাখে। পিছিয়ে থেকে এরিয়ান খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করলেও প্রতিপক্ষ দলের রক্ষণভাগে ফাটল ধরাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত সজলের গোলে মহমেডান স্পোর্টিং জয়ের মুখ দেখে। এদিন অন্য খেলায় কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশন হেরে গেল বিএসএস স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে। বিএসএস ১-০ গোলে কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্সের বিরুদ্ধে জয় পেল। জয়সূচক গোলটি করেন সুরজ মাহাত। অন্য আরেকটি খেলায় বড় ব্যবধানে জিতল পুলিশ এসি ক্লাব পাঠচক্রের বিরুদ্ধে। পুলিশ এসি ৫-০ গোলে হারিয়ে দেয় পাঠচক্রকে।

আজ কলকাতা লিগের গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে বিনো জর্জের ইস্টবেঙ্গল। নৈহাটী স্টেডিয়ামে তাঁদের প্রতিপক্ষ কালীঘাট মিলন সংঘ। গত ম্যাচে জর্জ টেলিগ্রাফের বিপক্ষে ৪-০ গোলে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়ে ঘরোয়া লিগের সুপার সিক্সের পথ অনেকটাই সহজ করেছে পি ভি বিষ্ণু ও সায়ন ব্যানার্জিরা। তবে, সেজন্য এই ম্যাচকে হালকাভাবে নিতে নারাজ কোচ বিনো। শেষ ম্যাচেও তাঁর লক্ষ্য তিন পয়েন্ট। মাত্র দুদিনের ব্যবধানে ম্যাচ খেলতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার অনুশীলনের শুরুতেই ফুটবলাদের নিয়ে বিশেষ ফিটনেস ট্রেনিং করালেন তিনি। পাশাপাশি, ফুটবলাদের নিয়ে আলাদাভাবে পাসিং অনুশীলন করতেও দেখা যায় তাঁকে। এরপরেই, দলকে দু’ভাগে ভাগ করে দীর্ঘক্ষণ সিচুয়েশন প্র্যাকটিস করালেন বিনো। জর্জ টেলিগ্রাফের বিপক্ষে ম্যাচ জিতলেও প্রথমার্ধে অসংখ্য গোলের সুযোগ নষ্ট করেছিলেন ডেভিড, বিষ্ণু ও এডমুন্ডরা। সেকথা মাথায় রেখে এদিন আক্রমণ থেকে গোল করার বিষয়ে বিশেষ জোর দিলেন বিনো। পাশাপাশি, দলের সমর্থকদের এই ম্যাচে আরও বেশি সমর্থকদের মাঠে আসার জন্য অনুরোধ করেন কোচ।


এদিকে, এই ম্যাচের আগে মোহনবাগান কোচ ডেগি কার্ডোজোকে খোঁচা দিতেও দেখা গেল বিনো জর্জকে। বিনো বলেন, কলকাতা লিগ অন্যতম ঐতিহ্যশালী একটি লিগ। এই লিগে যাতে সব খেলোয়াড়রাই খেলার সুযোগ পায় সে বিষয়টিকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। একইসঙ্গে, বিনো বলেন, সিনিয়র দল গঠনের ক্ষেত্রে প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়। কিন্তু, বর্তমানে ভারতীয় ফুটবল নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তায় আইএসএলের ভবিষ্যৎ রীতিমতো প্রশ্নের মুখে। সেক্ষেত্রে, কলকাতা লিগের মত দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই লিগে খেললে খেলোয়াড়দের ম্যাচ প্র্যাকটিস হবে। যা আইএসএলের আগে দলকে বাড়তি সুবিধা দেবে বলেই তাঁর মত।