কলকাতা লিগের দুরন্ত জয় ইস্টবেঙ্গলের। রবিবার কিশোরভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডায়মন্ড হারবার এফসিকে ৩-১ গোলে হারালো লাল হলুদ ব্রিগেড। এই জয়ের ফলে শুধু ডুরান্ড কাপ সেমিফাইনালে হারের মধুর বদলাই নিল না কোচ বিনো জর্জের দল, সেইসঙ্গে, নিজেদের ৪০ তম ঘরোয়া লিগ খেতাবের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এদিন ম্যাচের শুরুতেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ডায়মন্ড হারবার এফসির ডিফেন্ডার রাহুল পুরকাইত। প্রাথমিক সেই ধাক্কা কাটিয়ে যদিও বেশ কিছুটা লড়াই করেছিল দীপাঙ্কুর শর্মার দল। তাতে বিশেষ লাভ হয়নি।
উল্টে ম্যাচের ২৭ মিনিটে পি ভি বিষ্ণুর পাস থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ডেভিড লালহানসাঙ্গা। এরপরেই খেলায় নিজেদের পুরোপুরি দখল নিয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল। সেইসময় তাদের একের পর এক আক্রমণে কার্যত দিশেহারা হয়ে যায় ডায়মন্ড হারবার এফসি’র রক্ষণভাগ। তবে, সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল। একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করলেও গোলের ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি। যার ফলে, প্রথমার্ধে খেলার ফলাফলে আর কোনও পরিবর্তন হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও নিজেদের দাপট বজায় রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে, প্রয়োজনীয় গোলের মুখ কিছুতেই খুলছিল না। এইসময় বেশকিছু সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সায়ন ব্যানার্জি-বিষ্ণু’রা। নাহলে, গোল ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত তারা। এদিকে, ম্যাচের ৭২ মিনিট লাল হলুদ গোলরক্ষক দেবজিত মজুমদারের ভুলে সমতায় ফেরে ডায়মন্ড হারবার। ফ্রিকিক থেকে মিডফিল্ডার পল বল বাড়ালে তা ধরতে গিয়ে মিস করেন দেবজিত।
সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ডায়মন্ড হারবারের হয়ে সমতা ফেরান কিমা। যদিও, তাঁদের এই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুমিনিটের মধ্যেই ফের একবার ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন পরিবর্ত হিসেবে নামা জেসিন টি কে। সায়নের পাস থেকে গোল করে যান তিনি। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পরও নিজেদের আক্রমণের চাপ বজায় রেখেছিল লাল হলুদ ব্রিগেড। দ্বিতীয়ার্ধের সংযুক্ত সময়ের একেবারে শেষদিকে (৯০+৫) মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ব্যবধান বাড়ান গোলের করে সেই জেসিন।
এই ম্যাচে জয়ের ফলে কলকাতা লিগ খেতাব প্রায় নিশ্চিন্ত করে ফেললো ইস্টবেঙ্গল। যদিও, এখনই চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে বিশেষ ভাবছেন না ইস্টবেঙ্গল দলের অন্যতম তারকা প্রভাত লাকরা। আগামী সোমবার ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচে ইউনাইটেড এফসিকে হারিয়েই খেতাব ঘরে তুলতে চান তিনি। তবে কলকাতা ফুটবলের প্রতি অনীহা চোখে পড়ল দর্শকদের হাজিরা দেখে।