কোচ অস্কারের পাশে ইস্টবেঙ্গল

ফাইল চিত্র

সুপার কাপ ফুটবেল খেলতে নামার আগে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় প্রধান কোচ অস্কার ব্রুজোর সঙ্গে গোলরক্ষক কোচ সন্দীপ নন্দীর। সেই ঝামেলায় গোয়া বিমানবন্দর থেকেই কলকাতায় ফিরে আসেন গোলরক্ষক কোচ সন্দীপ নন্দী। তারপর থেকেই রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন তিনি। প্রচারমাধ্যমে তাঁর একের পর এক বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক বড় আকার ধারন করে। এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন লগ্নিকারী সংস্থার অন্যতম কর্তা আদিত্য আগরওয়াল। কোচ অস্কার ব্রুজোর পাশে দাঁড়িয়ে সন্দীপকে কোনওভাবেই সমর্থন করলেন না আদিত্য আগরওয়াল। তিনি কোনওভাবেই সন্দীপের অভিযোগকে গুরুত্ব দেননি। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রায় একই সুর শোনা গেল ইস্টবেঙ্গল শীর্ষ কর্মকর্তা দেবব্রত সরকারের গলাতেও।

দেবব্রত সরকার স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন, ক্লাবের উর্ধ্বে কেউ নন। তাঁর মতে, বর্তমানে ইস্টবেঙ্গল দলের একটাই নেতা, কোচ অস্কার ব্রুজো। দলের বিষয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন। একইসঙ্গে, দেবব্রত সরকার বলেন, আপাতত কোনওরকম বিতর্ক নিয়ে ভাবতে রাজি নন। বর্তমানে তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য সুপার কাপ জেতা। লাল-হলুদ কর্মকর্তা আরও জানান, এই বিতর্কের কোনও প্রভাব দলের উপর পড়বে না। তবে, সন্দীপ নন্দীকে নিয়ে এদিন একটিও বাড়তি শব্দ খরচ করতে চাইলেন না তিনি। বলা ভালো, লগ্নিকারী সংস্থার পর ক্লাবের পক্ষ থেকেও সন্দীপের অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হলো না। পাশাপাশি, কোচের ওপর তাঁদের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এমনকি, লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গেও তাঁদের সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে, তাও স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে প্রাক্তন গোলরক্ষক কোচ তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করলেও তিনি বলেন, যা হবে সুপার কাপের পরে। আসলে, এখন এসব নিয়ে অহেতুক আর বিতর্ক বাড়াতে চায় না ক্লাব।

এদিকে, গোয়ায় যে মাঠে ইস্টবেঙ্গল প্রস্তুতি নিচ্ছে তা নিয়ে কিছুটা হলেও ক্ষোভ রয়েছে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্টের। এছাড়াও, বাম্বোলিমের মাঠে ইস্টবেঙ্গলকে গ্রুপপর্বের দুটি ম্যাচ খেলতে হবে, তা নিয়েও বেশ বিরক্ত তিনি। আসলে, গ্রুপ এ’র অপর দল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট তাদের গ্রুপ পর্বের সবকটি ম্যাচই খেলবে ফাতোরদা স্টেডিয়ামে। একই গ্রুপের দুটি দলের ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন মাঠের বিষয়টা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা । নাম না করেই জানালেন, মোহনবাগানকে কিছুটা হলেও বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ফেডারেশন।