ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ডুরান্ড ফাইনালে ডায়মন্ড

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

চমক দিল ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব। ডুরান্ড কাপ ফুটবলে অভিষেকেই ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব ফাইনালে খেলবার ছাড়পত্র তুলে নিল। দুরন্ত জয় পেল শেষ চারের খেলায় ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। কোচ কিবু ভিকুনার ডায়মন্ড হারবারের ফুটবলাররা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল লাল হলুদ ব্রিগেডের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার ২-১ গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে নজির গড়ে ফেলল। খেলার প্রথমার্ধে কোনও পক্ষই গোল করতে পারেনি। তবে আত্মবিশ্বাসী ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা কোনওভাবেই চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি প্রতিপক্ষ দলের রক্ষণভাগে। বরঞ্চ ডায়মন্ড হারবারের ফুটবলাররা মাঝে মধ্যে পাল্টা আক্রমণে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগকে ব্যস্ত রেখেছিলেন। দুই দলই গোলের সুযোগ পেলেও বল গোলের জালে জড়াতে পারেননি।

দ্বিতীয় পর্বে ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজো খেলার কৌশল বদল করেও ডায়মন্ড হারবারকে চিন্তায় ফেলতে পারেনি। বুধবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এই খেলায় দু’দলেরই ফুটবলাররা মাঝে মধ্যেই দাপটের সঙ্গে খেলতে থাকেন। খেলার ৬৬ মিনিটের মাথায় ডায়মন্ড হারবারের হয়ে মিগুয়েল কোর্তাজা গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। সেই মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা হতাশ হয়ে পড়েন। সেন্টার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আনোয়ার আলি গোল করে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন। খেলার ৮৩ মিনিটে ডায়মন্ড হারবারের জবি জাস্টিন দুরপাল্লার শটে ইস্টবেঙ্গলের গোলের জালে বল জড়িয়ে দেন।

জাস্টিনের এই গোলটি দীর্ঘদিন ফুটবল প্রিয় মানুষদের কাছে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। ডায়মন্ড হারবারের খেলোয়াড়দের আগ্রাসী ভূমিকার কাছে ইস্টবেঙ্গল হার স্বীকার করল। লাল হলুদ শিবিরের কোচ অস্কার ব্রুজো ৭৩ মিনিটের মাথায় রশিদকে নামিয়ে ছিলেন সাউল ক্রেসপোর জায়গায়। দ্বিতীয় পর্বে সংযুক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল ৬ মিনিট। ওই সময় ডায়মন্ড হারবার একটি গোল করলেও অফসাইডের অজুহাতে তা বাতিল হয়ে যায়। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাবের এই জয় অবশ্যই ডুরান্ড কাপের ইতিহাসে নজির সৃষ্টি করল।