ক্রিশ্চিয়ানাে রােনাল্ডাের ১০০ তম গােল

গোল করারা পর উচ্ছ্বাসিত ক্রিশ্চিয়ানাে রােনাল্ডাে। (Photo: Twitter/@EURO2020)

ফুটবলে গােলের সেঞ্চুরি… শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ক্রিকেটের মতন ফুটবলেও হয় সেঞ্চুরি। তবে শতরান নয়, শততম গােল। প্রথম ইউরােপীয়ান ফুটবলার এবং আন্তর্জাতিক ফুটবলের আসরে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসাবে শততম গােল করে ফেললেন ক্রিশ্চিয়ানাে রােনাল্ডাে। সিআরসেভেনের সংগ্রহে আপাতত ১০১ টি গােল। 

উল্লেখ্য তিরিশতম জন্মদিনের পর থেকে ঊনপঞ্চাশটি গােল করেছেন সাতচল্লিশটি ম্যাচে। সর্বোচ্চ গােল করার তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন ইরানের প্রাক্তন ফুটলার আলি দেয়াই, তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ১০৯ টি গােল। তাঁর ফুটবল কেরিয়ার ১৯৯৩ সালে শুরু হয়েছিল এবং ২০০৬ সালে শেষ হয়। প্রথমস্থানে পৌছাতে গেলে ক্রিশ্চিয়ানাে রােনাল্ডাের প্রয়োজন মাত্র আর নয়টি গােলের। এবং রেকর্ড স্পর্শ করতে প্রয়োজন আটটি গােলের। 

পাশাপাশি বলে রাখা ভালাে, বর্তমানে সর্বোচ্চ গােল করার তালিকায় রয়েছেন। ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী (৭২) এবং আর্জেন্তিনার লিওলেন মেসি (৭০) টি গােল। 


এদিকে সময়টা লাগল একটু বেশি অর্থাৎ প্রথম ম্যাচে নেশনস্‌ লিগে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে পায়ের চোটের জন্য মাঠে নামতে পারেননি ক্রিশ্চিয়ানাে রােনাল্ডাে। কিন্তু পুরােপুরি সুস্থ হয়ে সুইডেনের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেই কাজের কাজটা করে ফেললেন ক্রিশ্চিয়ানাে রােনাল্ডাে। সিআরসেভেনের করা দু’গােলের উপর ভর করেই পতুর্গাল ২-০ গােলে পরাজিত করল সুইডেনকে। এবং কাঙ্খিত শততম গােলটাও সেরে নিললেন সিআরসেভেন। বলে রাখা ভালাে, পর্তুগাল জয়ের ধারা বজায় রাখল নেশনস্ লিগে, এই নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়। 

প্রথম ম্যাচে মালোয়েশিয়াকে হারানাের পর দ্বিতীয় ম্যাচে সুইডিশদের বধ করল পর্তুগাল। এই জয়ের ফলে পর্তুগাল এপ ‘এ-৩’ তে ছয় পয়েন্ট সংগ্রহ করে প্রথমস্থানে রইল। গােলপার্থক্যে পিছিয়ে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন ফ্রান্স। কারণ গ্রুপের খেলায় ফ্রান্সও দুটি ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে ছয় পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। 

গ্রুপের খেলায় খেলতে নেমে শুরু থেকেই পর্তুগালের ফুটবলাররা আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলতে থাকে। এবং রােনাল্ডােকে বার বারই গােলের মুখে নিয়ে যায় কারণ তাঁর কাঙ্খিত শততম গােলটি করার জন্য। তবে খেলার শুরুতেই গােল পেলেন না। রােনাল্ডােভক্তদের প্রথমার্ধের শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল। তবে ম্যাচে দু’বার হলুদ কার্ড দেখার পর চুয়ালিশ মিনিটে লালকার্ড দেখে মাঠ থেকে বহিষ্কৃত হন সুইডেনের সেভেনসন। 

এরপরই পঁয়তাল্লিশ মিনিটে সেই চেনা রােনাল্ডােকে দেখা গেল। সুন্দর একটি ফ্রি-কিক শট থেকে গােল করলেন, দলকে এগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ক্রিশ্চিয়ানাে রােনাল্ডাে নিজের শততম গােলটি করে ফেললেন। বলে রাখা ভালাে, ক্রিশ্চিয়ানাে রােনাল্ডাে মােট সাতান্নটি ফ্রি-কিক থেকে গােল করলেন। এর মধ্যে দশটি গােল এসেছে ফ্রি-কিকের সাহায্যে দেশের জার্সি গায়ে। 

প্রথমার্ধে এক গােলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে দশ জনে খেলা সুইডেনের গােলের জালে পতুর্গিজ ফুটবলাররা আরাে বেশি করে বল জড়িয়ে দেবেন সেটা সকলেই আশা করেছিলেন। কিন্তু সেটা হল না। দশজনে খেলা সুইডেন বারবারই চেষ্টা করছিল প্রতিরােধ গড়ে পর্তুগালের ফুটবলারদের ফুটবলারদের আটকে দেওয়ার।

কিন্তু শেষমেষ বাহাত্তর মিনিটে সেকুরিয়ার বাড়ানাে বল থেকে আবারও একটি গােল করে ফেলেন রােনাল্ডাে। ম্যাচে এটি তাঁর দ্বিতীয় গোল এবং কেরিয়ারের ১০১ তম গােল। এবং পর্তুগাল খেলায় ২-০ গােলে এগিয়ে যায়। এরপর খেলায় রেফারি অতিরিক্ত সময় দিলেও খেলার ফলাফলে আর কোনও পরিবর্তন আসেনি।