মঈন আলিকে নিয়ে নাইট শিবিরে চিন্তা বাড়ছে

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

আইপিএল ক্রিকেটে ১২টি খেলা বাকি থাকতেই ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে খেলা স্থগিত রাখা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকজন বিদেশি খেলোয়াড় দেশে ফিরে গিয়েছেন। আবার ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে ভারতে খেলা ক্রিকেটারদের দেশে ফিরে আসতে বলা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা দেশে ফিরে যান। এদিকে কলকাতা নাইটরাইডার্স দলে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

ইতিমধ্যেই কলকাতা দল জঘন্যভাবে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে যাওয়ার পরে প্লে-অফ ম্যাচ খেলা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। তবুও কেকেআর দল সুতোয় ঝুলছে প্লে-অফ ম্যাচের খেলার ভাবনায়। তবে কেকেআর দলকে অন্য দলগুলির ফলাফলের উপরে নির্ভর করতে হবে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইটরাইডার্সের আর মাত্র দু’টি ম্যাচ বাকি। দু’টি ম্যাচেই জিততে হবে। আগামী ১৭ মে কলকাতাকে খেলতে হবে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে।

এদিকে বিদেশি ক্রিকেটাররা কবে দেশে ফিরছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভারত সরকার যদি অনুমতি না দেয়, তাহলে সমস্যা তৈরি হবে। জেমি ওভারটন এবং জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্করা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা আসতে পারবেন না। তবে কলকাতা শিবিরের কাছে ভালো খবর, বিদেশি ক্রিকেটাররা ফিরে আসছেন আবার খেলার জন্য। বিদেশি ক্রিকেটাররা এলেও কলকাতা দলে বেশকিছু পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়্ছে দলে। কুইন্টন ডি কক ফিরে আসছেন। এই প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ১৫ মে দলে যোগ দিতে চলেছেন। সেই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান পেসার স্পেন্সার জনসনও তাঁর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেলরা এখন দুবাইয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন।


শনিবার বেঙ্গালুরু ম্যাচে তাঁদের একাদশে রেখেই দল তৈরি করছে কেকেআর। তবে কেকেআর শিবিরে একমাত্র দুশ্চিন্তা মঈন আলিকে নিয়ে। এখনও ফিরে আসা নিশ্চিত করেননি ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার। এই মুহূর্তে কলকাতা দল ১২ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে। বাকি দু’টি ম্যাচ তাদের জেতা ছাড়া আর অন্য কোনও পথ খোলা নেই।