ভারত হারলেও শুভমনদের পাশে দাঁড়ালেন কোচ গম্ভীর

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় দল হেরে গেল। ভারতীয় দলের স্কোরবোর্ডে পাঁচটি শতরান থাকলেও সেই ম্যাচটা এইভাবে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড দলের কাছে হারতে হবে, তা কখনওই বিশ্বাস করার জায়গায় ছিল না। এককথায় বলা যায়, ক্রিকেট ইতিহাসে এটি নজির। আসলে খেলার শেষ দিনে ভারতীয় বোলারদের কোনওরকম হেলদোল ছিল না। সাদামাটা বল করেছেন। কখনওই মনে হয়নি, তাঁরা আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিয়ে প্রতিপক্ষ দলের সামনে চাপ সৃষ্টি করবেন। যশপ্রীত বুমরা কোনও উইকেটই পেলেন না দ্বিতীয় ইনিংসে।

আবার মহম্মদ সিরাজ, শার্দুল ঠাকুর ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ যেভাবে বল করলেন, তাতে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা কোনও বিপদের মুখেই পড়েননি। তাঁরা স্বচ্ছন্দেই খেলে গিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে এই হারটা তোলা ছিল ভারতের জন্য। তবে এই হারের পরে ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর অভিমত, দুই ইনিংসেই নিচের সারির ব্যাটসম্যানরা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। প্রথম ইনিংসে সাতটি উইকেট পড়েছে ৪১ রানে আর দ্বিতীয় ইনিংসে ছ’টি উইকেট পড়েছে ৩১ রানে। এইভাবে কোনও দলের উইকেট পড়ে গেলে স্কোরবোর্ড কখনওই বড় অঙ্কে পৌঁছতে পারে না। এই প্রসঙ্গে কোচ গম্ভীর বলেন, ক্রিকেটাররা যে তাঁদের সেরাটা দিতে চাননি, তা নয়। তবে, হতাশ হয়েছেন যখনই ক্রিকেটাররা শূন্য রানে বা অল্প রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত গিয়েছেন। ৬০০-র কাছাকাছি রান করতে পারলে ভারত আধিপত্য বিস্তার করতে পারত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেখানেই হোচট খেতে হয়েছে।

শার্দুল ঠাকুরকে দলে নেওয়া হয়েছিল অলরাউন্ডার হিসেবে। কিন্তু দেখা গেল, শার্দুল দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ৫ রান করেছেন। আর বোলিংয়ে দুটো উইকেট পান। তাই গৌতম গম্ভীরের কথায় প্রকাশ পেয়েছে শার্দুলকে অল রাউন্ডার হিসেবে পাওয়া যায়নি। তবে শার্দুল ঠাকুরকে কেন কম ওভার বল দেওয়া হয়েছিল, এই কথা উঠতেই কোচ বলেন, অনেক সময় মাঠের মধ্যে অধিনায়কই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। আমার মনে হয়, রবীন্দ্র জাদেজা ভালো বল করছিলেন। কিন্তু তাঁকে সেইভাবে দেখতে পাওয়া যায়নি। সবারই পারফরম্যান্সে ধার বাড়ানো উচিত।


এটা ঠিক, অধিনায়ক শুভমন গিল প্রথম পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। এটা মনে রাখতে হবে, টেস্ট ম্যাচে সবসময় চাপের মধ্যে দিয়েই খেলতে হয়। তারপরে অধিনায়ক হিসেবে শুভমনের অভিষেক হয়েছে। একটু মানসিক দিক দিয়ে হয়তো পিছিয়ে ছিলেন। অধিনায়কত্ব পাওয়াটা অবশ্যই সম্মানের। তবুও ব্যাটিংয়ে তাঁর দক্ষতা কম ছিল না। আগামী দিনে হয়তো শুভমন পরিণত হয়ে উঠবেন। ও নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দেবে বলে বিশ্বাস।

আবার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের কথা উঠতেই কোচ গম্ভীর বলেন, ভালো টেস্ট বোলার হওয়ার মতো গুণ তাঁর মধ্যে রয়েছে। ইতিমধ্যেই চার টেস্ট ম্যাচে তাঁর দখলে ১৩টি উইকেট রয়েছে। নিশ্চয়ই যশপ্রীত বুমরা প্রথম ইনিংসে পাঁচটি উইকেট নিয়ে দলকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ হলেও গৌতম গম্ভীর বলেন, তাঁর অভিজ্ঞতাকে কখনোই ছোট করে দেখার জায়গা নেই। আশা করব, প্রত্যেকেই তাঁদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে আগামী ম্যাচগুলিতে নিজেদের প্রকাশ করবেন।