ভারতীয় দলের আলোচনার জবাব দিলেন কোচ গম্ভীর

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

গৌতম গম্ভীর প্রধান কোচ হিসেবে আসার পর থেকেই বিভিন্ন কারণে আলোচনায় মুখর। তার হাত ধরে ভারতীয় দলে ইতিমধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু এই পরিবর্তন ভারতীয় টেস্ট দলের দুর্দশা মুছে ফেলতে পারেনি। গত বছর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল রোহিত শর্মাদের টেস্ট সিরিজে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করেছিল।

আর চলতি বছরে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল ভারতের মাটিতেই শুভমন গিলদের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে নজির গড়ল। তাই স্বাভাবিকভাবেই গম্ভীরের ভূমিকা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একদিনের সিরিজে ভারতীয় দল কামব্যাক করার পর সাংবাদিকদের স্পষ্ট জবাব দিলেন কোচ গৌতম গম্ভীর।

এই বছর অস্ট্রেলিয়া সফরে একদিনের সিরিজে শুভমান গিলের হাতে অধিনায়কের ব্যাটনটা তুলে দেওয়া হয়েছিল। রোহিত শর্মাকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একদিনের সিরিজে ১-২ ব্যবধানে হারের সম্মুখীন হয়েছিল ভারতীয় দল। এরপর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ভারতের হতাশাজনক ছবি সামনে উঠে আসে। কলকাতার ইডেন উদ্যানে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতীয় দল ৩০ রানে হারের লজ্জায় মুখ লুকায়।


ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় ব্রিগেড মাত্র ৯৩ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল। এরপর অসমে দ্বিতীয় টেস্টে ৪০৮ রানে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়ে সমালোচিত হোন ঋষভ পন্থরা। ব্যাটিং এবং বোলিং দুই বিভাগেই হতাশাজনক পারফর্ম্যান্স করে ভারত। তবে একদিনের ক্রিকেট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ছবিটা বদলে দেন বিরাট কোহলি আর রোহিতশর্মারা। বিরাট ব্যাট হাতে ৩ ম্যাচেই জ্বলে উঠেছিলেন। পাশাপশি রোহিত শর্মা, যশস্বী জয়সওয়াল বিশেষ নজর কাড়েন। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের হাতে রাখে ভারত।

ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হারের পর গৌতম গম্ভীরের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। তিনি ব্যাটিং অর্ডারে এবং একাদশে বারবার পরিবর্তন করে চমক দিয়েছিলেন। যা খুব একটা সফল হয় নি। এবার একদিনের সিরিজ জয়ের পর উষ্মা প্রকাশ করলেন। এবারে সমালোচকদের স্পষ্ট বার্তা কোচ গৌতম গম্ভীর। তিনি বলেন, এই সব কথা উঠেছে তার কারণ আমরা সফলতা পাইনি। কিন্তু সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হল কেউ সঠিক বিষয় তুলে ধরেননি।
এটা উল্লেখ করা হচ্ছে না যে প্রথম টেস্টে আমাদের অধিনায়ককে ছাড়াই খেলতে হয়েছিল। ম্যাচে ব্যবধান ছিল মাত্র ৩০ রান। সত্যটা বলতে হবে। আমরা শুধুমাত্র একজন অধিনায়ককে পাইনি তা নয়, আমরা একজন সফল ব্যাটসম্যানকে মাঠে পেলাম না। যে ব্যাটসম্যান শেষ ৭ ম্যাচে এক হাজারের কাছাকাছি রান করেছেন। এই বিষয়টি নিয়ে কেউ কথা বলছে না। আমি কিছু বলি না মানে যে বলতে পারি না তা নয়।