অভিষেকের দাপটে মুস্তাক আলিতে প্রথম হার বাংলার

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতে লজ্জার হার বাংলা দলের। হায়দরাবাদে গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচে পাঞ্জাবের কাছে ১১২ রানে হেরে গেলেন শামি, আকাশদীপ’রা। সৌজন্যে, পাঞ্জাব অধিনায়ক অভিষেক শর্মার ঝোড়ো ব্যাটিং। শামিদের কার্যত মাটি ধরিয়ে দিলেন ২৫ বছরের বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তাঁর ৫২ বলে ১৪৮ রানের দাপুটে ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৩১০ রান তোলে পাঞ্জাব।

এছাড়াও, ওপর ওপেনার প্রভসিমরানও রান পেয়েছেন। এদিন ৩৫ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
রবিবার জিমখানা গ্রাউন্ডে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাব। ওপেন করতে নেমে ব্যাট হাতে রীতিমতো ঝড় তোলেন দুই ওপেনার প্রভসিমরন সিং ও অভিষেক শর্মা। বাঁহাতি এই ওপেনার মাত্র ১২ বলে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। অপর ওপেনার প্রভসিমরন ২৪ বলে অর্ধশতরান করেন। এই দুই ব্যাটসম্যানের দাপটে প্রথম ৬ ওভার শেষে ৯৩ রানে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। তারপরেও ব্যাটিং তান্ডব চালাতে থাকেন অভিষেক। ৩২ বলে শতরান পূর্ণ করেন তিনি। খেলার ১২.৩ ওভারে অভিষেক যখন আউট হলেন তখন পাঞ্জাবের রান ২০৫। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আউট হলেও পাঞ্জাবের দাপট এতটুকুও কমেনি।

ব্যাটসম্যানদের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের ফলে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান তোলে পাঞ্জাব। এই ম্যাচে বাংলার প্রায় সব বোলারই প্রচুর মার খেলেন। শামি ৪ ওভারে ৬১ রান দিলেন। পেলেন মাত্র ১ উইকেট। অন্যদিকে, আর এক বোলার আকাশদীপ ৫৫ রান দিয়ে পেলেন ২ উইকেট। এই প্রসঙ্গে বলা যায়, মুস্তাক আলি ট্রফির প্রথম দু’ম্যাচে একেবারেই নিজের চেনা ফর্মে ছিলেন না অভিষেক। হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে ৪ এবং হরিয়ানার বিরুদ্ধে ৬ রান করে আউট হয়েছিলেন তিনি। তবে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে তাঁর রানে ফেরা নিঃসন্দেহে স্বস্তি দেবে নির্বাচকদের।


অন্যদিকে, ৩১১ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে বাংলা। দ্বিতীয় ওভারের মধ্যেই অভিষেক পোড়েল, করণ লাল ও শাহবাজের উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে তারা। সেখান থেকে অধিনায়ক অভিমুন্য ঈশ্বরণ দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরলেও লাভ হয়নি। ক্রিজ কামড়ে পরে থেকে ৬৬ বলে ১৩০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেও দলের হার কোনোভাবেই এড়াতে পারলেন না বাংলার অধিনায়ক। কারণ, অভিমুন্য লড়লেও তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিতে পারলেন না বাকি ব্যাটসম্যানরা। এক অঙ্কের রানেই সাজঘরে ফিরে গেলেন দলের আটজন ব্যাটসম্যান। শেষপর্যন্ত ৩১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলার ইনিংস থামল ১৯৮ রানে। এই হারের ফলে পয়েন্ট তালিকায় চার নম্বরে নেমে গেল বাংলা।