আমিরশাহীর কাছে হেরে সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বাংলাদেশের সঙ্গে আরব আমিরশাহী টি-টোয়েন্টি সিরিজে দু’টি ম্যাচ ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজের অনিশ্চয়তার কথা ভেবে আরও একটি টি-টোয়েন্টি বাড়ানো হয়েছিল। সৌদি আরবের সঙ্গে তৃতীয় ম্যাচে নামার আগে বাংলাদেশ ১-১ ফলাফলে শেষ করে। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে হার স্বীকার করে লিটন দাস ও জাকের আলিদের বাংলাদেশ। লজ্জার নজির গড়ল সৌদি আরবের কাছ সিরিজ হেরে গিয়ে। বাংলাদেশ ১-২ ব্যবধানে সৌদি আরবের কাছে পরাস্ত হল। এই প্রথমবার সিরিজ জিতে নিল আমিরশাহী।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝটকা খায় পদ্মাপাড়ের দেশ। পারভেজ হোসেন ইমন কোনও রান না করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর অধিনায়ক লিটন দাস ১৪ রান করে কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। তবে ওপেন করতে নামা তানজিদ হাসান ঝোড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা তানজিদ ফেরেন ১৮ বলে ৪০ রানে। এরপর ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়ে বাংলাদেশ। একটা সময় ৮৪ রানে ৮ উইকেট পড়ে গিয়েছিল তাদের। শেষ দিকে জাকের আলি ৪১, হাসান মাহমুদ ২৬ এবং শরিফুল ইসলাম ১৬ না করলে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড ১৬২ রানে দাঁড়াতো না।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯ রানে আউট হন দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের নায়ক মহম্মদ ওয়াসিম। তবে, জোহাইব খান ২৯ রান করে লড়াইয়ে থাকেন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা আলিশান শরাফু যেন ম্যাচ জেতানোর প্রত্যয় নিয়েই নেমেছিলেন। ৪৭ বলে ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দিয়ে তিনি আরব আমিরশাহীকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। আসিফ খানের ২৬ বলে ৪১ রানের ইনিংসটার কথাও না বললেই নয়। তিনিও অপরাজিত থাকেন। বলা চলে, এই দুই ব্যাটসম্যানে লড়াইয়ে পাঁচ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নতুন ইতিহাস লেখে আমিরশাহী।


৭ উইকেটে পরাস্ত হয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, ‘সমস্ত ম্যাচ জিতব, এই মনোভাব নিয়েই এখানে এসেছিলাম। তবে সিরিজ হেরে গিয়েছি। প্রতিপক্ষ ভালো খেললে তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।’ উল্লেখ্য, এর আগেও ২০২৪ সালে আইসিসি’র সদস্য দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ খোয়াতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এবার আমিরশাহীর কাছেও সিরিজ হেরে গিয়ে লজ্জায় পড়ল বাংলাদেশ।