বেবী লিগের প্রতিভাবান ফুটবলার অ্যাকাডেমির সম্পদ : বাজাজ

ফাইল চিত্র

ইয়ুথ লিগে বাইচুং ভুটিয়ার ফুটবল স্কুলকে ৩১ গোলে তার মিনার্ভা অ্যাকাডেমি ফুটবল ক্লাব হারিয়ে দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছে। মির্নাভা অ্যাকাডেমির কর্নধার রঞ্জিত বাজাজ ইতিমধ্যে ভারতীয় ফুটবলে তার প্রতিবাদী চরিত্রের জন্য পরিচিতি পেয়েগেছেন। ফুটবল ফেডারেশনের যে সিদ্ধান্তকে উনি ফুটবল বিরোধী বলে মনে করেছেন, সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ছাড়েননি। প্রয়োজনে আদালতে ছুটেছেন। আইলিগ স্বীকৃতিতে দেশের লিগ ফুটবলের অবস্হান কি হবে,তা নিয়ে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন।সেক্ষেত্রে এএফসির দরবার হতে পিছপা হননি।তার অ্যাকাডেমি দেশের ইয়ুথ লিগের সব পর্যায়েই চ্যাম্পিয়ান হওয়ার নজির রেখেছে।তার সিনিয়র টিমের আইলিগে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার রেকর্ড আছে।বিগত ১০ বছর ভারতীয় ফুটবল নিয়ে মাঠে ও মাঠের বাইরে তার লড়াইকে কুর্নীশ জানাতেই হবে।

রঞ্জিত বাজাজ নিজেও ফুটবলার ছিলেন। জেসিটির ফুটবলার রঞ্জিত বাজাজ ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বয়সভিত্তিক ভারতীয় দলে বিজেন সিং ও ইসফাক আহমেদদের সাথে খেলেছেন। বাংলার দীপেন্দু বিশ্বাস তার থেকে ১ বছরের জুনিয়র ব্যাচের ফুটবলার।মালয়েশিয়াতে এশিয়ান স্কুল গেমস খেলেছেন। তার সময়কালের ফুটবলাররা পরবর্তী সময়ে এয়ার ইন্ডিয়া,মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড,ওএনজেসির মত ক্লাবে খেলেছেন।কিন্ত লেখাপড়ার জন্য তাকে লন্ডনে চলে যেতে হয়।উচ্চশিক্ষা শেষে ভালোবাসার ফুটবলেই নিজেকে সঁপে দিয়েছেন।

ভারতের ফুটবল অ্যাকাডেমির প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে অকপটে বললেন, ”ভারতীয় ফুটবলের অনেক পরিবর্তন এসেছে। অ্যাকাডেমি থাকলেই সেখানে শিক্ষিত কোচেরা খেলা শেখাবেন।সঠিক পথে ছেলেরা খেলা শিখবে। নর্থইষ্টের রাজ্যগুলোর মত বেবী লিগ পরিচালনা করলে বিভিন্ন রাজ্যের ফুটবলের উন্নতির না হওয়ার কারন নেই। রাজ্যের বেবী লিগ থেকে উঠে আসা প্রতিভাবান ফুটবলাররা অ্যাকাডেমিতে এসে নিজেদেরকে আরো উন্নত করতে পারে। তবে, এক একটা অ্যাকাডেমি বিভিন্ন রকমের নীতি নিয়ে চলে।ফলে ‘পে অ্যান্ড প্লে’ বা’ স্কলারশিপে’র নীতির বিভিন্নতায় বিভিন্ন অ্যাকাডেমি চলছে। ফুটবলার তুলে আনতে,এখন দেশে আরো অনেক অ্যাকাডেমির প্রয়োজন আছে। যত অ্যাকাডেমি হবে তত ফুটবলে কাজের পরিধি বাড়বে। অনেক কাজের সুযোগ খুলে যাবে। তবে,অ্যাকাডেমি চালানো অনেক খরচ সাপেক্ষ,ফলে বিভিন্ন অ্যাকাডেমি বিভিন্ন নীতি নিয়ে চলেছে।


আমাদের মির্নাভা ফুটবল অ্যাকাডেমি এখন ব্যাঙ্গালুরুর সাই অ্যাকাডেমির সাথে যৌথভাবে চলছে। বাংলা ও দেশের বিভিন্নপ্রান্তেও আমাদের কাজ করার ইচ্ছে আছে। অ্যাকাডেমি পরিচালনায় যথার্থ নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা থাকা দরকার। আমাকে সারাদিন অ্যাকাডেমি নিয়ে ভাবতে হয়। সকাল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে অ্যাকাডেমিতে চলে আসতে হয়। বাড়ি ফিরতে রাত দেড়টা বেজে যায়। রাতে ৪ ঘন্টা ও দিনে ৪ ঘন্টা ঘুমানোর সুযোগ মেলে। এমন কঠিন রুটিনে চলতে হচ্ছে। নিশ্চয়ই, আমার পরিশ্রম ছাড়া মা ও স্ত্রী’র অবদান কখনো ভোলার নয়”

মির্নাভা অ্যাকাডেমি ফুটবল ক্লাব এই মরশুমে সাব জুনিয়র ও জুনিয়র উভয়বিভাগেই ফাইনালে উঠেছে। ফাইনালে সাব জুনিয়র দল চ্যাম্পিয়ন হয়। এবং জুনিয়র দল রার্নাস হয়েছে। যেহেতু মণিপুর ও মিজোরামের বেবী লিগ দেশের মধ্যে সেরা লিগ, তাই এই লিগের প্রতিভাবান ফুটবলাররা দেশের বিভিন্ন ফুটবল অ্যাকাডেমিতে সুযোগ পাচ্ছে।