অভিমানী শ্রেয়স

ফাইল চিত্র

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ক্রিকেটে শ্রেয়স আইয়ার বড় ভূমিকা নিয়ে ভারতীয় দলকে জিতিয়েছেন। তারপরেই খবরের শিরোনামে শ্রেয়স উঠে এসেছেন। আর কয়েকদিন বাদেই আইপিএল ক্রিকেট শুরু হয়ে যাচ্ছে। গত মরশুমে শ্রেয়সের নেতৃত্বে কলকাতা নাইটরাইডার্স চ্যাম্পিয়ন্স হয়েছিল। কিন্তু এবারের মেগা নিলামে চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক শ্রেয়সকে কলকাতা রাখার প্রয়োজন মনে করেনি। তাই শ্রেয়স চলে গিয়েছেন পাঞ্জাব কিংস দলের হয়ে খেলতে। তাঁর কাছে কলকাতা দলের ব্যবহার খুবই খারাপ লেগেছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে সেইভাবে শ্রেয়সকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় তিনি অভিমান করেছেন। এটা মনে রাখতে হবে, দলের অধিনায়ক সবসময় খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করেন। কোন সময়ে কোন ক্রিকেটারকে দলের জয়কে তুলে আনার জন্য তা কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, সেকথা ড্রেসিংরুমেই সতীর্থদের বুঝিয়ে দেন।

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শ্রেয়স আইয়ারের দুরন্ত ভূমিকাকে অবশ্যই কুর্নিশ করতে হবে। ভারতীয় দলের হয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২৪৩ রান। আর শ্রেয়স যখন মাঠে নামেন, সেটা দলের কাছে সবচেয়ে ভাইটাল। তিনি সাধারণত মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে দলের হাল ধরেন। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কঠিন সময়ে তাঁর চওড়া ব্যাট কথা বলেছে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গতবছর শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বিসিসিআইয়ের চুক্তি থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল শ্রেয়সকে। তাঁর সময়টা ঠিক ভালো যাচ্ছিল না। কিন্তু এবারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফিরে এসে আবার নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

শ্রেয়স আভিমানী হয়ে বলেন, আমার খারাপ সময়ে এমন কোনও মানুষকে সেইভাবে পাওয়া যায়নি, যা আমাকে সাহস দেবে। দু’একজন অবশ্যই আমার পাশে ছিলেন। প্রবীন আমরে, আভিষেক নায়ারের মতো ক্রিকেটাররা আমাকে সবসময় বার্তা দিয়েছেন এবং খারাপ সময়ে সাহায্য করেছেন। আমার বলতে দ্বিধা নেই, এই ধরনের মানুষ পেলে ভালো সময়ে ফিরে আসাটা কোনও সময়েই বাধাপ্রাপ্ত হয় না। আর এটাই স্বাভাবিক ঘটনা, তা নতুন করে বলার প্রয়োজন হয় না।