মোহনবাগানের নির্বাচন কি সমঝোতার পথে যাচ্ছে

ফাইল চিত্র

মোহনবাগান ক্লাবের ভোট একেবারেই দুয়ারে। শাসক গোষ্ঠীর বিরোধী পক্ষরা একের পর এক নির্বাচনী সভা করে তাদের শক্তি প্রকাশ করার চেষ্টা করছে। আবার তারই মধ্যে এই দল থেকে অন্য দলে ফিরে আসছেন সুবিধা বুঝে। সাধারণ নির্বাচনে যেমন দলবদলু হয়, ঠিক সেইভাবে মোহনবাগান নির্বাচনে একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। দু’দিন আগে বিরোধী পক্ষের হয়ে বিস্তর কথা বলার পরে রাতারাতি সেই খেলোয়াড় শাসক গোষ্ঠীর পক্ষের হয়ে সোচ্চার হলেন। আসলে প্রত্যেকেই জল মাপছেন কোন পক্ষ এগিয়ে থাকবে নির্বাচনে। দুই পক্ষ থেকেই বলা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের আশীর্বাদ নিয়ে তাঁরা লড়াই করতে মাঠে নেমেছেন। শনিবার শাসক গোষ্ঠীর পক্ষে একটা বড় সভা হতে চলেছে নিউটাউন-রাজারহাটে। সেখানে বেশকিছু নেতার পাশে প্রাক্তন ফুটবলারদের দেখতে পাওয়া যাবে। আগামী ২২ জুন নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন হবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে, এমনই খবর।

অন্য সূত্রে খবর, নির্বাচন নিয়ে মোহনবাগান ক্লাবে যে উত্তাপ বাড়ছে, তাতে অনেকেই মনে করছেন শেষ পর্যন্ত বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বসুর সঙ্গে একটা সমঝোতা হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন না হয়ে মিলিঝুলি কার্যকরী সমিতি গঠন হতে পারে। তবে নির্বাচন যদি না হয়, সচিব পদে দেবাশিস দত্তকেই রেখে দেওয়া হবে। তাহলে কি সৃঞ্জয় বসুকে সভাপতি পদ দেওয়া হবে? নিশ্চয়ই সৃঞ্জয় বসু যদি সচিব না হন, সভাপতি পদও নিতে চাইবেন না।

মোহনবাগান ক্লাবে সচিবের পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি এমন ঘটনা ঘটে যায়, সেক্ষেত্রে সভাপতি হিসেবে প্রথম নামটি উঠে আসবে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামল সেনের। আবার এমনও হতে পারে, সৃঞ্জয় বসুকে সিএবি’তে পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা। সেক্ষেত্রে সৃঞ্জয় বসু রাজি নাও হতে পারেন। সব মিলিয়ে বলতে পারা যায়, এই মুহূর্তে মোহনবাগানের নির্বাচন নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে।


মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত সাংবাদিক বৈঠকে যে মাস্টার্স স্ট্রোক দিয়েছেন, তাতে অনেকটাই তাঁর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পায়ো গিয়েছে। কৌশল করে তিনি বলেছেন, যদি টুটু বসু সচিব পদে লড়াই করেন, তখন তিনি আর লড়াইয়ে থাকবেন না। তবে টুটু বসুকে লিখিতভাবে জানাতে হবে, কয়েক মাস বাদে ওই পদ ছেড়ে দিয়ে তিনি ছেলে সৃঞ্জয় বসুকে বসাবেন না। কিন্তু এই শর্ত টুটু বসু মেনে নেবেন না তা ভালো করেই জানেন সচিব দেবাশিস দত্ত। এই মুহূর্তে দেবাশিস দত্তের শরীরী ভাষা বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তিনি সচিব হচ্ছেন।