কলকাতায় কুইনস্‌ল্যান্ডের খনি–প্রযুক্তি সংস্থাগুলির বড় প্রদর্শনী

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ভারতের ক্রমবর্ধমান খনি শিল্পে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও জোরদার করতে এ বার প্রযুক্তির ক্ষেত্রে শক্তিশালী উপস্থিতি জানাল কুইনস্‌ল্যান্ড সরকার। রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রিত বাণিজ্য সংস্থা ‘ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কুইনস্‌ল্যান্ড’ (টিআইকিউ) খনিজ অনুসন্ধান ও আধুনিক খনি–প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ করা দশটি সংস্থাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক খনি, খনি সরঞ্জাম, খনিজ ও ধাতু প্রদর্শনীতে হাজির হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত কলকাতার মিলনমেলা প্রাঙ্গণে চারদিনের এরকমই একটি প্রদর্শনী হয়ে গেল।

টিআইকিউ সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের মধ্যে দীর্ঘ দিনের খনি–সহযোগিতা ইদানীং আরও গভীর হয়েছে। খনিজ অনুসন্ধান, খনির নিরাপত্তা, জ্বালানিক্ষেত্রে টেকসই প্রযুক্তি, স্বয়ংক্রিয় খননব্যবস্থা—এসব ক্ষেত্রে কুইনস্‌ল্যান্ড বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় অঞ্চল। বিশেষ করে ইস্পাতশিল্পে প্রয়োজনীয় কোকিং কয়লা রপ্তানিতে কুইনস্‌ল্যান্ড ভারতকে বড় সরবরাহকারী হিসেবে ধরে রেখেছে।

এই প্রদর্শনীতে কুইনস্‌ল্যান্ডের প্রযুক্তি–সংস্থাগুলির উপস্থিতি ভারতের পূর্বাঞ্চলের খনি–কেন্দ্রিক শিল্প ও সংস্থাগুলির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের পথ খুলেছে। পরিবেশবান্ধব খনন, উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং খনিজ উত্তোলনের আধুনিক পদ্ধতির মতো ক্ষেত্রগুলিতে ভারতের যে দ্রুত চাহিদা তৈরি হচ্ছে, সেখানে নিজেদের উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি তুলে ধরছে কুইনস্‌ল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানগুলি।


টিআইকিউ–র দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সিনিয়র ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশনার অভিনব ভাটিয়ার কথায়, ‘ভারতের খনি খাত দ্রুত রূপান্তরের পথে। এই পরিবর্তনে কুইনস্‌ল্যান্ডের প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এ কারণেই আমরা এই প্রদর্শনীতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়েছি।’

টিআইকিউ–র উদ্যোগ অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তর ‘ক্রিটিক্যাল মিনারেলস পার্টনারশিপ’ পরিকল্পনার সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। ভ্যানাডিয়াম, সিলিকা, গ্রাফাইট, টাংস্টেন, কোবাল্ট এবং রেয়ার আর্থ–সহ নয়া যুগের শিল্পে অত্যাবশ্যক খনিজগুলিতে ভারত–অস্ট্রেলিয়া যৌথ কাজ বাড়ানোর লক্ষ্যে একাধিক প্রকল্প নিয়ে এগোচ্ছে দুই দেশ।

পূর্ব ভারতের খনি–পরিকাঠামোর অন্যতম কেন্দ্র কলকাতা এই সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। প্রদর্শনীতে প্রযুক্তি প্রদর্শনীর পাশাপাশি বিনিয়োগ সম্ভাবনা, ভবিষ্যতের খনি–উদ্ভাবন এবং যৌথ গবেষণার দিকগুলি নিয়েও চলছে গভীর আলোচনা।

আইএমই ২০২৫–এর কুইনস্‌ল্যান্ড প্যাভিলিয়নে টিআইকিউ–র পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মুনিশ কৌশল, পার্থিবান এবং অভিনব ভাটিয়া। তাঁরা ভারতীয় সরকারি প্রতিনিধি, শিল্পক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন এবং ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতা গড়ে তোলার সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।