আজ আস্থা ভোটের মুখোমুখি ইয়েদুরাপ্পা

বি এস ইয়েদুরাপ্পা (File Photo: IANS)

আস্থা ভােটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ব্যাপারে আশাবাদী ইয়েদুরাপ্পা বলেন, ‘আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত, আস্থা ভােটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারব’। কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থা ভােটের ঠিক এক দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ব্যাপারে কতটা আত্মবিশ্বাসী তা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস-জেডি (এস) প্রশাসনের তৈরি অর্থ বিল নির্ধারিত দিনে আগামিকাল বিধানসভায় পেশ করা হবে। আমি নিজে বিলটি পেশ করব। আমি ১০০ শতংশ নিশ্চিত আগামিকাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারব’।

তিনি বলেন, ‘অর্থ বিলটি দ্রুত বিধানসভায় পাশ করানাে প্রয়ােজন, নইলে আমরা কোনও টাকা তুলতে পারব না। এমনকি মাইনেও দিতে পারব না। তাই আগামিকাল বিধানসভায় আস্থাভােট হওয়ার পর আমরা প্রথমেই অর্থ বিলটি পেশ করব’।


তিনি বলেন, জেডি (এস)-কংগ্রেস জোট সরকারের তৈরি অর্থ বিলে কোনও ধরণের পরিবর্তন করিনি। ওদের করা অর্থ বিলটি আমি বিধানসভায় পেশ করব।

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করার পর ইয়েদুরাপ্পা ঘােষণা করেছিলেন, সােমবার বিধানসভায় তিনি আস্থা ভােট করবেন। কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকার রমেশ কুমার দলত্যাগ বিরোধী আইনের ধারায় জেডি (এস)-কংগ্রেস জোটের আরও ১৪ জন বিধায়কের সদস্য পদ বাতিল করে দেন।

২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় ম্যাজিক সংখ্যা ১০৪। বিজেপি ও একজন নির্দল প্রার্থীর সমর্থন মিলিয়ে বিধানসভায় মোট ১০৬ জন বিধায়ক রয়েছেন। কংগ্রেসের ৬৬, জেডি (এস)’র ৩৪, বিএসপি’র ১ জন (কুমারস্বামী জোট প্রশাসনকে ভােট না দেওয়ার কারণে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে) বিধায়ক রয়েছে।

দলত্যাগ বিরােধী আইনের ধারায় আরও চোদ্দো জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করলেন কর্ণাটক বিধানসভার অধ্যক্ষ আর রমেশ কুমার। ২০২৩ সাল পর্যন্ত কর্ণাটক বিধানসভার মেয়াদ রয়েছে। এগারাে জন কংগ্রেস বিধায়ক ও তিন জন জেডিএস বিধায়ক স্পিকারের রােষের শিকার হন।

ইয়েদুরাপ্পার শপথ গ্রহণের দু’দিন পর সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ১৪ জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের ঘােষণা করেন। আগামিকাল ওই চোদ্দোজন বিধায়ক সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। আগামিকাল কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থা ভােটে ইয়েদুরাপ্পা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবেন।

ঠিক একদিন আগে স্পিকারের এহেন সিদ্ধান্তে ইয়েদুরাপ্পা প্রশাসনের ভাগ্য নির্ধারণের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না।

বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ করার বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে জিজ্ঞাসা করে স্পিকার বলেন, ‘আমি পদের আইনি নীতিবােধ ব্যবহার করেছি ঠিকই তবে আমি আহত’। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস-জেডি (এস)’র সদস্যপদ খারিজ হওয়া বিধায়কদের আবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ওই বিধায়করাও তাঁদের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। কুমারাস্বামীর আস্থাভােটে এরা কর্ণাটক বিধানসভায় হাজির ছিলেন না’।

সদস্যপদ খারিজ হওয়া কংগ্রেস বিধায়কদের নাম প্রতাপ গৌড়া পাটিল, বি সি পাটিল, শিবরাম হেব্বার, এস টি সােমশেখর, বাইরতি বাসবরাজ, আনন্দ সিং, রােশন বেগ, মুনিবত্বা, কে সুধাকর, এমটিবি নাগরাজ, শ্ৰীমন্ত পাটিল।

সদস্যপদ খারিজ হওয়া অন্য বিধায়কদের মধ্যে রমেশ জারকিহােলি, মহেশ কুমাতাল্লি, শঙ্কর। সদস্যপদ খারিজ হওয়া জেডিএস বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন গােপালাইয়া, এ এইচ বিশ্বনাথ, নারায়ণ গৌড়া।

বিজেপির তরফে স্পিকারের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালােচনা করে বলা হয়, স্পিকার আইন লঙঘন করেছেন।