কংগ্রেসের ১২ বিধায়ক টিআরএস-এ যােগ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন অধ্যক্ষের কাছে

টিআরএস কার্যকরী দলের সভাপতি কে টি রামারাও (Photo: IANS)

সম্প্রতি শেষ হওয়া সাধারণ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারেও বিরােধী দলের মর্যাদা লাভের জন্য সংসদে প্রয়ােজনীয় সংখ্যায় সদস্য পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস দল। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি তাঁর নিরাপদ আসন আমেথিতে পরাজিত হয়েছেন। ফলে নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে সভাপতির পদ ত্যাগ করতে চেয়েছেন রাহুল।

এরই জেরে রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেস নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা হয় আঞ্চলিক দল বা বিজেপিতে যােগ দিচ্ছে।এমনই ঘটনা ঘটল তেলেঙ্গানা বিধানসভায়। কংগ্রেসের হয়ে বিজয়ী ১২ জন বিধায়ক বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাজ্যের শাসক দল টিআরএস দলে যােগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

অন্যদিকে কংগ্রেসের পক্ষে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সংবিধান বিরােধী কাজ করছেন বলে অভিযােগ আনা হয়েছে বিধানসভার অধ্যক্ষ নাকি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এমন কাজ করছেন বলে কংগ্রেস দলের অভিমত।


উল্লেখ্য কংগ্রেস বিধায়করা বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করার আগে টিআরএস কার্যকরী দলের সভাপতি কে টি রামারাওয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাঁর দলে যােগদানের প্রাথমিক অনুমােদনের জন্য। এরপরেই বিধায়করা লিখিতভাবে তাঁদের টিআরএস দলে অন্তর্ভুক্তির কথা জানান অধ্যক্ষের কাছে।

কংগ্রেসের দলত্যাগী বিধায়করা যাতে দলত্যাগী আইনের আওতায় না পড়েন সে কারণে আগেই তন্দুর পার্টির এক বিধায়ককেও তাদের সঙ্গে নেন। কংগ্রেস বিধায়কদের দলত্যাগের হিড়িকে দিশেহারা টিপিসিসি প্রধান এবং বিধায়সভায় কংগ্রেস দলের নেতা ভাট্টি বিক্রমারকা এপ্রিল মাসেই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে কোনও দলের বা নির্বাচিত সদস্যের অন্য দলে সংযুক্তির বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের দ্বারা নির্ধারনের আর্জি জানান। সেখানে বিধানসভার অধ্যক্ষের কিছুই করার নেই বলে সাংবিধানিক নীতির উল্লেখ করা হয়।

ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের পক্ষে দলত্যাগী বিধায়কদের পদ খারিজের আর্জি জানানাে হয়েছে বিধানসভার অধ্যক্ষের নিকট। এছাড়া আদালত যাতে বিধায়কদের পদের বৈধতা খারিজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় তারও আর্জি জানানাে হয়েছে দলের পক্ষে।